ওয়ার্ক ফ্রম হোমের টোপ দিয়ে প্রতারণার ঘটনা বাড়ছে রাজ্যে। এই অপরাধের ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে, বিধাননগর কমিশনারেট। কীভাবে বোকা বানানো হচ্ছে? সতর্ক থাকার উপায় কী? তুলে ধরল এই সময়

কী ভাবে ফাঁদে ফেলা হয়?

সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া হয় ঘরে বসে মোটা টাকা রোজগারের বিজ্ঞাপন। যোগাযোগ করলেই যুক্ত করা হয় হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে। সেখান থেকে নির্দেশ দেওয়া হয় অনলাইনে কিছু ভিডিয়ো লাইক করার। প্রথম ৭-১০দিন কাজের বিনিময়ে অ্যাকাউন্টে দেওয়া হয় টাকাও। বিশ্বাস অর্জনের পরই জানানো হয়, সংস্থায় টাকা বিনিয়োগ করলেই ৬ মাসের মধ্যে মিলবে ২০-৩০ শতাংশ বাড়তি। টাকা জমা রাখার পরেই বন্ধ হয় যোগাযোগ।

বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ

● ওয়ার্ক ফ্রম করতে হলে সংশ্লিষ্ট সংস্থার বিষয়ে আগে খোঁজ নিন।
● কিছুদিন কাজ করার পর টাকা বিনিয়োগ করার বার্তা এলে সে পথে হাঁটবেন না।
● অচেনা কোনও গ্রুপে যুক্ত করলে বেরিয়ে আসুন।

অপরাধের খতিয়ান

● বিধাননগর কমিশনারেটে ২০২৩-এ ১৫৫ জন সাইবার অপরাধের শিকার।
● তাঁদের মধ্যে ৫৫ শতাংশকেই বোকা বানানো হয়েছে ওয়ার্ক ফ্রম হোমের প্রতিশ্রুতি দিয়ে।
● প্রতারিতদের বয়স ২৪-৪৫ মধ্যে।

বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য

সন্দীপ সেনগুপ্ত, সাইবার অপরাধ বিশেষজ্ঞ জানাচ্ছেন, প্রতারকরা মূলত দুর্বলতাকে হাতিয়ার করে। সবচেয়ে বড় দুর্বলতা লোভ। কম পরিশ্রমে বড়লোক হওয়ার ভাবনা ছাড়তে হবে। লোভে পড়ে কোনও জায়গায় বিনিয়োগ করবেন না বা অচেনা কাউকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শেয়ার করবেন না।

বিশ্বজিৎ ঘোষ, গোয়েন্দাপ্রধান, বিধাননগর কমিশনারেট জানাচ্ছেন, ওয়ার্ক ফ্রম হোমে কাজের সুযোগ এলে ভালো করে সেই সংস্থা সম্পর্কে আগাম খোঁজ নিন। সবদিক খতিয়ে না দেখে কাজে যোগ দিলে পরে সমস্যায় পড়তে হবে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version