দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান। সংস্কার করা হবে বীরভূমের রামপুরহাট শহরের একমাত্র সাংস্কৃতিক মঞ্চ ‘রক্তকরবী’। তা প্রায় সাত থেকে আট বছর ধরে বন্ধ হয়ে পড়েছিল।

একাধিকবার রামপুরহাটের মানুষ এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিলেন। সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে উঠে এসেছিল এই রক্ত করবী মঞ্চ। তবে আন্দোলন করা হলেও দীর্ঘ সাত থেকে আট বছর ধরে দরজায় তালা বন্ধ অবস্থায় পড়েছিল রক্তকরবী মঞ্চ। যদিও এই মাসের ২৩ তারিখ কালীঘাটের বৈঠকে তৃণমূল সুপ্রিম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানতে চেয়েছিলেন রক্তকরবীর বর্তমান অবস্থা কেমন। সেই সময় মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম রক্তকরবীর দুর্দশার কথা জানান। এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রক্তকরবীর উন্নয়নের জন্য কাগজপত্র তৈরি করতে হবে।

আর এরপরেই রামপুরহাট পুরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন ভকত সমস্ত কাগজপত্র জমা দেওয়ার পরে বুধবার কাজ শুরু করার জন্য নির্দেশ আসে। ইতিমধ্যেই রক্তকরবীর জন্য ডিপিআর জমা দেওয়া হয়েছে, যা নির্ধারিত করা হয়েছে ৫ কোটি ৬৩ লাখ। এর মধ্যে সিভিল ওয়ার্কের জন্য প্রথম অ্যাপ্রুভল এসেছে ৯৯ লাখ ৪৬ হাজার। খুব শীঘ্রই এই কাজ শুরু হবে বলে জানান রামপুরহাট পুরসভার চেয়ারম্যান।

অন্যদিকে, রক্তকরবীর আলোর জন্য ১ কোটি ৪৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা, বিশেষ চেয়ার ও সাউন্ড সিস্টেমের জন্য ১ কোটি ৩৭ লাখ ৯৯ হাজার টাকা, অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রের জন্য ৪৩ লাখ ২৬ হাজার টাকা এবং ফল সিলিং ও ওয়ালপেপার কাজের জন্য ১ কোটি ৩৮ লাখ ৪৯ হাজার টাকা কম্পনেন্ট জমা দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে কাজ শুরু করার জন্য প্রাথমিকভাবে দেওয়া হয়েছে ৯৯ লাখ ৪৬ হাজার টাকা। জানা গিয়েছে, ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে কাজ শুরু করা হবে। চলতি বছরের ১৫ অগাস্টের মধ্যে কাজ শেষ করার চেষ্টা করবে পুরসভা।

Sabooj Sathi Scheme : সবুজ সাথী নিয়ে বড় নির্দেশ রাজ্যের, একদিনে ফিটিং ৩০ হাজার সাইকেল
এই খবর সামনে আসার পর স্বাভাবিকভাবেই খুশি রামপুরহাটের মানুষজন। স্থানীয় বাসিন্দা অমিতাভ হালদার বলেন, ‘বাম আমলে প্রায় ২০ বছর আগে এই মঞ্চের কাজ শুরু হয়। এরপরে এই মঞ্চ তৈরি হলে বিগত প্রায় সাত থেকে আট বছর ধরে সংস্কারের অভাবে বন্ধ হয়ে পড়েছিল মঞ্চ। নতুনভাবে কাজ শুরু হওয়ায় আমরা আনন্দিত। যত তাড়াতাড়ি কাজ সম্পন্ন হবে আমরা পুনরায় আবার আমাদের রক্তকরবীকে আগের মত দেখতে পাব।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version