এই সময়, ভাঙড়: উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষাকেন্দ্রে বোমা ফাটায় শোরগোল পড়ে গেল ভাঙড়ে। মঙ্গলবার পরীক্ষার শেষে ভাঙড় হাইস্কুলে ছেলেদের শৌচালয়ে হঠাৎ বোমা ফাটে। সেই সময় শৌচালয়ে ঢুকছিল এক ছাত্র। বোমা ফাটার তীব্র আওয়াজে সে চমকে ওঠে। শব্দ পেয়ে ছুটে আসে পুলিশ। শৌচালয় থেকে বেশ কিছু পোড়া সুতুলি উদ্ধার হয়। ভাঙড় থানার পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।এ দিন উচ্চ মাধ্যমিকের অঙ্ক ও ইতিহাস পরীক্ষা ছিল। ভাঙড় হাইস্কুলে সিট পড়েছিল কাঁঠালিয়া হাইস্কুল, কারবালা হাইস্কুল ও চালতাবেড়িয়া হাই মাদ্রাসার পড়ুয়াদের। সব মিলিয়ে প্রায় সাড়ে পাঁচশো পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দেয়। দুপুর একটা নাগাদ পরীক্ষা শেষে যখন ছেলেমেয়েরা একে একে স্কুল থেকে বাইরে বের হচ্ছিল তখন এই ঘটনা ঘটে।

এক ছাত্র বলে, ‘শৌচালয়ে গিয়ে দেখি এক কোনে সুতুলি জড়ানো বোমা পড়ে আছে। তার উপর ধুপ জ্বলছে। ছুটে বেরিয়ে আসি। শিক্ষকদের জানাই।’ খবর পেয়ে শিক্ষক ও পুলিশ কর্মীরা ছুটে আসেন। তখনই দুম বোমাটি ফেটে ওঠে।

উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পরই একাদশ শ্রেণির পরীক্ষা শুরু হয় দেড়টা নাগাদ। তারই মাঝে এই ঘটনায় ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়। স্কুলের বাইরে এক দোকানদার বলেন, ‘এত জোরে শব্দ হয়েছে যে আমরাও চমকে উঠেছি। ভাঙড়ে যখন তখন বোমা ফাটে, কিন্তু স্কুলের মধ্যে কোনও দিন বোমা ফাটেনি।’

ভাঙড় হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক গোবিন্দ সরকার বলেন, ‘কোনও ছাত্র হয়তো চকোলেট বোমা এনে ফাটিয়েছে। এতে পরীক্ষায় কোনও প্রভাব পড়েনি।‘ গোলাম মাসুদ নামে এক অভিভাবক বলেন, ‘পরীক্ষার সময় ছাত্ররা বোমা, ধূপ, দেশলাই নিয়ে ঢুকল কী করে? স্কুলের গাফিলতির জন্য এমনটা হয়েছে।’

ভাঙড় থানার পুলিশ জানিয়েছে, তারা স্কুলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে। পুলিশের ধারণা, বহিরাগত কোনও ছাত্র মজা করার জন্য এমনটা করেছে। তবে বিষয়টি নিয়ে নিরাপত্তার প্রশ্ন উঠেছে। অভিভাবকদের প্রশ্ন, যদি বোমা ফেটে কোনও ছাত্রের ক্ষতি হতো তখন তার দায় কে নিত?



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version