‘দার্জিলিং ও জলপাইগুড়ি আসন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উপহার দিতে চাই। তার জন্য যা করার করব। হয় মরব, না হয় জিতব,’ ভোট ঘোষণার আগেই এমন দাবি শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেবের। দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্র থেকে পরপর ৩ বার জিতেছে বিজেপি। অন্যদিকে গত লোকসভা নির্বাচনে জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রেও জিতেছে গেরুয়া শিবির। একদিকে বিজেপি যেমন দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রকে নিজেদের দখলে রাখার চেষ্টা করছে, ঠিক তেমনই তৃণমূলও এই কেন্দ্রটি পদ্ম শিবিরের ঝুলি থেকে ছিনিয়ে আনতে চাইছে।সম্প্রতি, প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে বিজেপি। সেই তালিকায় ১৯৫ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। তবে ১৯৫ জনের তালিকায় দার্জিলিং কেন্দ্রের জন্য কোনও প্রার্থী ঘোষণা করেনি বিজেপি। এদিকে তৃণমূল এখনও পর্যন্ত কোনও প্রার্থীই ঘোষণা করেনি। তবে প্রার্থী ঘোষণা না হলেও ইতিমধ্যেই দলের হয়ে ভোটের প্রচার শুরু করে দিয়েছেন শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব। জেলা তৃণমূলের তরফে শিলিগুড়ি সহ মহকুমা এলাকায় দেওয়াল লিখন শুরু করা হয়েছে। শিলিগুড়ি শহরের ৪৭ টি ওয়ার্ডের মধ্যে কিছু ওয়ার্ড দার্জিলিং এবং কিছু ওয়ার্ড জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে। ওই দুই লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে থাকা এলাকাগুলিতে জোরকদমে দেওয়াল লিখন শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল।

বুধবার বিভিন্ন ওয়ার্ডে গিয়ে দেওয়াল লিখনে অংশ নিলেন শিলিগুড়ি পুরনিগমের মেয়র গৌতম দেব। এদিন তিনি বলেন, ‘কয়েকদিনের মধ্যে ভোট ঘোষণা হবে। দলের তরফে কয়েকদিনের মধ্যে প্রার্থী তালিকাও ঘোষণা হয়ে যাবে। শহরজুড়ে দেওয়াল লিখন হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার বিরুদ্ধে চলবে প্রচার। তবে এই বছর আমরা দার্জিলিং ও জলপাইগুড়ি আসন দু’টি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উপহার দিতে চাই। ডু ওর ডাই সিচুয়েশন।’

এদিকে তৃণমূল দেওয়াল লিখনের মধ্যে দিয়ে ভোটের ময়দানে নেমে পড়লেও এখনও পর্যন্ত অন্যান্য দলগুলিকে ভোট-প্রচারে নামতে দেখা যায়নি। বিজেপির প্রার্থী কে হবেন তা নিয়েও এখন দলের অন্দরে জল্পনা রয়েছে। দার্জিলিং লোকসভার ক্ষেত্রে কেউ কেউ যেমন চাইছেন রাজু বিস্তকেই ফের প্রার্থী করা হোক, অন্যদিকে আবার প্রাক্তন বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা হয়েও একটি গোষ্ঠীকে প্রচার করতে দেখা যাচ্ছে। তবে বিজেপির একটা সূত্রে জল্পনা, আগামী ৯ মার্চ শিলিগুড়িতে সভা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর আগে হয়ত প্রার্থী ঘোষণা হয়ে যেতে পারে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version