শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সক্রিয় ED। শুক্রবার সকাল থেকে একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, আটটি জায়গায় অভিযান চালিয়েছে ED। প্রসন্ন রায় ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী, শিক্ষত, মিডল ম্যানদের খোঁজ চলছে বলেই সূত্রের খবর।জানা গিয়েছে, নিউ টাউনের পাথরঘাটা এলাকাতে আব্দুল আমিন নামক এক পার্শ্ব শিক্ষকের বাড়িতে তল্লাশি চালায় ED। ওই শিক্ষক পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ বলে সামনে এসেছিল। এছাড়াও রাজারহাট এলাকাতে এক ব্যক্তির বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হচ্ছে। জানা গিয়েছে, তিনি জমি কেনা এবং বিক্রির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। পাশাপাশি নাগেরবাজারেও চলছে ED তল্লাশি। এদিন ডায়মন্ড সিটি নর্থ নামক একটি অভিজাত আবাসনের ২০ নম্বর টাওয়ারে ৭ নম্বর ফ্ল্য়াটে প্রসন্ন রায় ঘনিষ্ঠ এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে অভিযান চালায় ED।

রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার জট কাটাতে ফের একবার সক্রিয় তদন্তকারীরা। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা সামনে আসার পর রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। গ্রেফতার করা হয় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। পাশাপাশি মডেল তথা অভিনেত্রী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতেও চালানো হয়েছিল তল্লাশি।

তাঁর টালিগঞ্জ এবং বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছিল। অঙ্কটা প্রায় ৫০ কোটি টাকার কাছাকাছি। এই টাকা উদ্ধার নিয়ে ব্যাপক শোরগোল পড়ে। ED-র হাতে গ্রেফতার হন পার্থ এবং অর্পিতা।

এদিকে এই মামলাটি বিচারাধীন। ইতিমধ্যেই পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় আদালতে দাবি করেছেন, অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া টাকার সঙ্গে তাঁর কোনও যোগাযোগ নেই। যদিও তাঁদের সম্পর্ক কতটা ‘সাধারণ’ ছিল, তা নিয়ে হাইকোর্ট সন্দেহ প্রকাশ করেছে। বৃহস্পতিবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের আর্জির শুনানিতে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘উভয়ের সম্পর্ক সাধারণ নয়।’

পাশাপাশি ED-র তরফে আদালতে দাবি করা হয়েছে, ‘পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রভাবশালী।’ এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী বলেন, ‘যাঁর কাছে টাকা তিনিই যদি অস্বীকার করেন সেক্ষেত্রে আমার মক্কেলের বা কী করার রয়েছে। অর্পিতা একটি সন্তান দত্তক নিতে চেয়েছিলেন।’ তিনি আরও জানান, একটি খামে তাঁর মক্কেলের নাম থাকা মানেই তিনি দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত তা কী ভাবে প্রমাণিত হয়? প্রশ্ন তোলেন পার্থর আইনজীবী।

Partha Arpita : অর্পিতার দত্তক সন্তানের দেখভালের দায়িত্বে সায় পার্থের! ‘অপা’ নিয়ে নয়া তথ্য ED-র

তদন্ত পক্ষপাতদুষ্ট, এমন দাবিও করতে শোনা যায় তাঁকে। অভিযুক্তদের মধ্যে কে এত টাকার যোগান দিতে পারে? সেই প্রশ্ন করেন বিচারপতি। যদিও সেই প্রসঙ্গে কোনও ধারনা নেই বলে জানান পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version