ভোটের আগে দলের নিষ্ক্রিয় কর্মীদের জন্য কাউন্সেলিং শুরু করেছে বিজেপি! কারণ দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কড়া নির্দেশ, ভোটের মরশুমে একজন কর্মীও যেন ঘরে বসে না থাকেন। বুঝিয়ে মাঠে নামাতে হবে প্রত্যেককে, নিষ্ক্রিয়দেরও। এ বিষয়ে বঙ্গ-বিজেপি কী কী উদ্যোগ নিচ্ছে, তার রিপোর্টও দিল্লিতে পাঠাতে হবে সুকান্ত মজুমদারদের।তাই কার্যত যুদ্ধকালীন তৎপরতায় জেলায় জেলায় নিষ্ক্রিয় কর্মীদের চিহ্নিত করে তাঁদের ‘কাউন্সেলিং’ শুরু করেছে বঙ্গ-বিজেপির ক্ষমতাসীন শিবির।

ঠিক কীভাবে হচ্ছে এই ‘কাউন্সেলিং অভিযান’?
দলীয় সূত্রে খবর, ভোট-প্রচারের ফাঁকে বুথস্তরে নিষ্ক্রিয় কর্মীদের বাড়ি বাড়ি ছুটছেন জেলাস্তরের বিজেপি নেতারা। কেন তাঁরা ঘরে বসে আছেন, কেন এত অভিমান, দলের কোন ক্ষেত্রে কাজ করার সুযোগ পেলে তিনি মাঠে নামবেন—এইসব প্রশ্নই খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে জানতে চেয়ে নিষ্ক্রিয়দের বরফ গলানোর চেষ্টা করছেন বিজেপির জেলা নেতৃত্ব।

শুধু তা-ই নয়, নিষ্ক্রিয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকের ছবি তুলে তাঁরা পাঠিয়েও দিচ্ছেন বিজেপির কল সেন্টারে, যাতে দিল্লির কাছে ‘নির্দেশ পালনের’ প্রমাণ দিতে কোনও সমস্যা না হয় রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের। মেদিনীপুরের এক বিজেপি নেতার কথায়, ‘পুরোনোদের অনেকেই নিষ্ক্রিয়। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব চাইছেন, দলের একজন কর্মীও যেন মনখারাপ করে বসে না থাকেন। নিষ্ক্রিয়দের মন ভালো করার জন্য তাই আমরা তাঁদের বাড়ি গিয়ে জানতে চাইছি, দলের কোন ক্ষেত্রে তাঁরা কাজ করতে চান।’

বিজেপির অন্দরের খবর, দলের পুরোনো হেভিওয়েট নেতা, যেমন রাহুল সিনহা, দিলীপ ঘোষদের অনুগামীদের একাংশ নিজেদের সরিয়ে রেখেছেন ২০২৪ লোকসভা নির্বাচন থেকে। তাঁদের মাঠে নামাতে এ বার দিলীপদেরও সক্রিয় হতে বলা হয়েছে দিল্লি থেকে। যদিও দিলীপপন্থী বঙ্গ-বিজেপির এক নিষ্ক্রিয় নেতার কথায়, ‘বিজেপি একটা পরিবার। বিশ্বাস করি, আমরা সেই পরিবারের সদস্য। কিন্তু সারা বছর নিজের পরিবারেই আমরা উপেক্ষিত। শুধু ভোট এলে আমাদের কথা মনে পড়লে তো সমস্যা। তখন দলকে পরিবারের বদলে কর্পোরেট অফিস মনে হয়।’

BJP In West Bengal : বিজেপির স্টার ক্যাম্পেনারদের সভা

যদিও রাজ্য বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলছেন, ‘আমরা আমাদের দলের মতাদর্শের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। সাময়িকভাবে কারও মনখারাপ হতেই পারে। খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু বিজেপির রাজনৈতিক আদর্শ সবাইকে ঠিক এক জায়গায় নিয়ে আসবে। কোনও কারণে যাঁরা এখনও নিষ্ক্রিয় আছেন, বৃহত্তর স্বার্থে অচিরেই তাঁরা মূল পার্টির সঙ্গে মিলেমিশে যাবেন।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version