মঙ্গলবার বীরভূমে সভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, এরপরেই তিনি দলকে নির্দেশ দিয়েছিলেন কাজল শেখকে কোর কমিটিতে রাখার। এদিন বীরভূমে তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্য আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, কাজল শেখকে কোর কমিটিতে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। লোকসভা নির্বাচনের আগে কাজলের কামব্যাক রীতিমতো তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
কাজল শেখ নতুন দায়িত্ব পেয়ে বলেন, ‘আমি মা মাটি মানুষের সৈনিক। দল যখন যা দায়িত্ব দিয়েছে পালন করেছি। আজ দল যে দায়িত্ব দিয়েছে তা সততার সঙ্গে পালন করব। টিম অনুব্রত পঞ্চায়েত নির্বাচনেও বীরভূমে ভালো ফলাফল করেছে। লোকসভাতেও করবে।’ সবমিলিয়ে আত্মবিশ্বাসী শোনা যায় তাঁকে।
ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ কাজলের কোর কমিটিতে প্রত্যাবর্তন লোকসভা নির্বাচনের আগে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। উল্লেখ্য, ২০১১ সালে রাজ্যের ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথম বীরভূমে অনুব্রত মণ্ডলের অনুপস্থিতিতে লোকসভা নির্বাচনে লড়তে চলেছে রাজ্যের শাসক দল। এর আগে দলীয় বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছিলেন, অনুব্রত মণ্ডলের কায়দাতেই জেলাতে দল চালাতে হবে। এদিকে তাঁর অনুপস্থিতির সুযোগ নেওয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে বিরোধীরাও। বীরভূম জেলার দুটি কেন্দ্রে পরিবর্তন আনার জন্য মরীয়া তারা। এদিকে অনুব্রত মণ্ডলের অনুপস্থিতিতেও জয় আসবে, আত্মবিশ্বাসী মমতা। তিনি মঙ্গলবার বীরভূমের হাসনের সভা থেকে বলেন, ‘নির্বাচনের দিন প্রত্যেকবার কেষ্টকে ঘরবন্দি করে দিতে। কিন্তু, তাতে কি ভোট আটকাত? বীরভূমের মানুষ ভোট দিতেন…’।
রাজনৈতিক মহলের একাংশের কথায়, এবার বীরভূমের নির্বাচন রাজ্যের শাসক দলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই মুহূর্তে গোরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হয়ে সুদূর তিহাড় সংশোধনাগারে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর অনুপস্থিতিতে বীরভূম কেন্দ্র ধরে রাখা রাজ্যের শাসক দলের জন্য অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ।