ওই কর্মী বৈঠক থেকে নওশাদ শুরুতেই আক্রমণ করেন বামেদের। তিনি নিজেকে সংযুক্ত মোর্চার বিধায়ক হিসেবে দাবি করেন। তাঁর দাবি, এখনও বাম ও কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। নওশাদ বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে লড়াই করতে চেয়েছিলাম। ভাঙড়ে সিপিএম নেতা তুষার ঘোষ, রশিদ গাজির মতো কিছু ভালো মানুষ রয়েছেন।
কিন্তু এরা দলের সিদ্ধান্ত নেওয়ার জায়গায় নেই। সিদ্ধান্ত নেয় উপরতলার কয়েকজন নেতা। কিন্তু তার জন্যই আমাদের আলাদা লড়াই করতে হচ্ছে। যদিও সেই লড়াইয়ে আমরা জয়ী হব।’ নওশাদের কথায়, ‘ভাঙড় ঠিক করে যাদবপুরে কে জিতবে। ভাঙড়কে সামনে রেখে আমরা যাদবপুর লোকসভায় জিতব। এতদিন আমাদের মাথার উপর কাঁঠাল রেখে বামেরা খেয়েছে। এ বার থেকে সেটা হবে না।’
লোকসভা ভোট ঘোষণার পর কিছুটা আকস্মিক ভাবেই বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে জোট ভেঙে বেরিয়ে আসে আইএসএফ। এ নিয়ে ভাঙড়ে দলের মধ্যে প্রবল অস্বস্তি শুরু হয়। সে কথা মনে করিয়ে নওশাদ দলীয় কর্মীদের বুথ স্তরে সংগঠন মজবুত করার নির্দেশ দেন। তিনি কর্মীদের বলেন, ‘আপনারা বুথ কমিটি তৈরি করে বাড়ি বাড়ি যান। মানুষের কাছে ভোট চান। আমি ভাঙড় থেকে ১ লক্ষ ২৯ হাজার ভোট পেয়েছিলাম। সেই মার্জিন বাড়াতে হবে।’
এ দিন দুপুরে প্রথম মাঝেরহাট গ্রামে নিজের দলীয় কার্যালয়ে আসেন নওশাদ। তার পর তিনি জামাইপাড়ায় দলের নির্বাচনী কর্মিসভায় যোগ দেন। ওই সভায় প্রথম দিকে হাতে গোনা কয়েকজন কর্মী ও সংগঠক উপস্থিত থাকলেও সে ভাবে সমর্থকদের দেখা মেলেনি। পরে নওশাদ মঞ্চে আসার কিছুক্ষণ আগে হাজার খানেক লোক আসেন।
যদিও দলীয় কর্মীদের বসার জন্য যে পরিমাণ চেয়ারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল তা ভরাট হয়নি। তা নিয়ে কটাক্ষ করে তৃণমূল নেতা শওকত মোল্লা বলেন, ‘নিজের এলাকায় যিনি সভাস্থল ভরাতে পারেন না, তিনি আবার বড় বড় কথা বলেন। নওশাদের দল ভোটে খড়কুটোর মতো উড়ে যাবে।’