দিনে দিনে গোমড়া মুখ বাড়ছে! প্রতিযোগিতা, দৌড় ইত্যাদি ইত্যাদিতে বেজায় বিপত্তি! সবমিলিয়ে ঠোঁটের ফাঁক দিয়ে হাসি ফিরিয়ে আনা অত্যন্ত সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে অনেকের জন্য।ভোটবাজারে যখন বাক্যবাণ নিয়ে তপ্ত বিভিন্ন মহল তখনই রাজনীতিকদের মন্তব্য নিয়ে মিম বানাতে সক্রিয় অনেকে। আর এই মিমকে ‘সাপোর্ট করেন’, এবার এই মন্তব্য শোনা গেল হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী তথা অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কণ্ঠে। তাঁর ‘ধোঁয়া ধোঁয়া’ মন্তব্য হোক বা দই নিয়ে করা মন্তব্য, সোশ্যাল মিডিয়ায় হামেশাই মিম হয়েছে। কিন্তু, সদা হাসিখুশি থাকা ‘দিদি নং ১’ সবকিছুতেই আলো বাতাস চলাচলের রাস্তা খোঁজেন। যদি মিম দেখে মানুষের মুখে হাসি ফোটে, ক্ষতি কী? মঙ্গলবার মগরার খেজুরিয়াতে প্রচারে এসেছিলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘মিম যাঁরা করেন আমি তাঁদের সমর্থন করি।’ এদিন রচনা বলেন, ‘আগে হাসিটা দারুন ছিল। এখন হাসিটা শুনে লোকে বলে পাগল।’

আগে হাসিটা দারুন ছিল। এখন হাসিটা শুনে লোকে বলে পাগল।

রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়

তাঁর সংযোজন, ‘ভাবছি আজ কী নিয়ে বলি! আমি হাসলেও সমস্যা, না হাসলেও সমস্যা। মিম করলে ঠিক আছে। যে কোনও প্রচারই তো প্রচার। আমি ভীষণ পজিটিভ মাইন্ডের মানুষ। আমি মিম করার বিষয়টির মধ্য়েও পজিটিভিটি দেখি, নেগেটিভ কিছু দেখি না। কারণ যাঁরা এই ধরনের মিম করেন তাঁদের লাইক সাবস্ক্রাইবার দরকার। এটা তাঁদের রুজি রোজগার। আমি তাঁদের সমর্থন করি।’

এদিন জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী শোনায় রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি বলেন, ‘জয়ের ব্যাপারে একশ শতাংশ নিশ্চিত। তাই কোনও টেনশন নেই।’ প্রসঙ্গত, রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রচারে বেরিয়ে কখনও দই খেয়ে, সিঙ্গুরের সবুজায়ন নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন। কখনও গরম ঘুগনি খেয়ে প্রশংসা করেছেন, আবার কখনও আলু পোস্ত খেয়ে বাহবা দিয়েছেন। আর তা নিয়ে মিম হতে বেশি সময় লাগেনি।

‘আমার কথা ও রিপিট করল!’ লকেট সম্পর্কে মন্তব্য রচনার

পাশাপাশি সিঙ্গুরে শিল্পায়ন প্রসঙ্গে তাঁর ‘চারিদিকে ধোঁয়ায় ধোঁয়া’ মন্তব্য নিয়ে বিস্তর মিম হয়েছিল। তবে পরে একটি ভিডিয়ো করে নিজের মন্তব্যের ব্যাখ্যাও দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। কিন্তু, মিম ব্রিগেড তাও ছাড়েননি রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

প্রচারের মাঝে হঠাৎই বিয়ে বাড়িতে রচনা, তারকা প্রার্থীকে দেখে কী মন্তব্য কনের?

কিন্তু, এই সমস্তকিছু নিয়ে খুব একটা বেশি মাথা ঘামাতে নারাজ অভিনেত্রী। তিনি স্পষ্ট জানাচ্ছেন, এই সমস্ত মিম তিনি দেখেছেন এবং মজাটাকে মজার মতো করে নিয়েছেন। অতিরিক্ত ভাবনা চিন্তা এই নিয়ে করতে নারাজ তিনি। উল্লেখ্য, হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিপক্ষ তাঁর একদা সতীর্থ লকেট চট্টোপাধ্যায়। এখন দেখার নির্বাচনী ফলাফল সামনে আসার পর শেষ হাসি কে হাসেন?



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version