জঙ্গিপুরের দলীয় প্রার্থী খলিলুর রহমানের সমর্থনে প্রচার সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে উঠে এল মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রের কংগ্রেস সমর্থিত বাম প্রার্থী মহম্মদ সেলিমের নাম। এদিনে বিজেপি, কংগ্রেস ও সিপিএম-কে একযোগে নিশানা করেন মমতা। তিনি বলেন, ‘মুর্শিদাবাদে কংগ্রেস সেলিমকে লড়তে পাঠিয়েছে, আর উত্তর দিনাজপুরে পাঠিয়েছে ফরওয়ার্ড ব্লকের রমজানকে, আবার মালদায় পঠিয়েছে আর একজনকে লড়তে। অর্থাৎ যে আসনগুলো তৃণমূলের পাকা আসন, সেগুলোতে জল ঢেলে দিয়ে যাতে বিজেপিকে জেতান যায়… তৃণমূল কংগ্রেসের ভোটটা কেটে। আমি বারবার বলব ভুল করলে কিন্তু আর হবে না, এই সুযোগ হারাবেন না।’এরপরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আরও বলতে শোনা যায়, ‘সবাইকে বলব আও একটু অ্যাক্টিভ হন। পাশের কেন্দ্র মুর্শিদাবাদ, ওখানে উড়ে এসে একজন বাজপাখি দাঁড়িয়েছেন, তৃণমূলের ভোট কাটতে। আমি জাকিরকে বলে গেলাম, খলিলুরকেও বলে যাচ্ছি, সবাইকে বলে যাচ্ছি, নজর দিতে হবে। এরা সকাল সন্ধ্যা আমাদের গালাগালি দেবে, আর আমাদের ভোট কেটে, সংখ্যালঘুদের ভোট ভাগ করে বিজেপিতে জেতাবে, এই ভুলটা যেন আমরা না করি। আমি আমার কথা আপনাদের কাছে বললাম, আমি আবেদন করলাম।’

প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্র থেকে লড়ছেন সিপিএম-এর রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। ভোটের ময়দানে একসঙ্গে দেখা যাচ্ছে ২ দলের নেতৃত্বকে। এমনকী ডোমকলে গিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীকে দলীয় কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশে বার্তা দিতে দেখা দিতে দেখা গিয়েছে, ‘দরকার হলে জান দিয়ে দেবেন, তবু সেলিম ভাইকে হারতে দেবেন না।’ প্রদেশ সভাপতির মতে, ‘বিজেপি এবং তৃণমূল নিজেদের স্বার্থে সবরকম ভাবে চাইবে, যাতে ভোটটা তাদের দু’দলের মধ্যেই ভাগ হয়। আমরা দুর্নীতির প্রতিবাদে, গণতন্ত্র এবং ধর্মনিরপেক্ষতা রক্ষা করতে এই দু’দলের বিরুদ্ধে জোট করেছি।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version