লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে দেশ জুড়ে CAA চালু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। CAA নিয়ে ভোটব্যাঙ্ক-এ প্রভাব পড়বে, আশায় বিজেপি। বিশেষত, রাজ্যের মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ পদ্মে সমর্থন জানাবে, এমনটাই ধারণা গেরুয়া শিবিরে। তবে, CAA-এর জন্য আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর থেকে কতজন মানুষ এতে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন জানিয়েছেন? এই প্রশ্ন ঘুরছে অনেকের মনে। কতজন মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছেন, জানিয়ে দিলেন বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের BJP প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর।সোমবার ভোটের প্রচার শেষে জানালেন শান্তনু ঠাকুর জানালেন, CAA-তে ১০ হাজার মতুয়ারা আবেদন করেছেন। সম্প্রীতি দেশ জুড়ে লাগু হয়েছে সিএএ। লাগু হওয়ার পর থেকেই রাজনৈতিক মহলে ক্রমশাই বাড়ছে তরজা। একদিকে যখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের প্রত্যেকটা সভা থেকে মন্তব্য করছেন CAA-তে আবেদন করলে নাগরিকত্ব চলে যাবে। পাশাপাশি বঞ্চিত হবে সমস্ত সরকারি প্রকল্পের থেকে। এই আবহে এই উত্তর ২৪ পরগনা জেলার গাইঘাটায় ভোট প্রচার শেষে বনগাঁ লোকসভার বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর জানিয়ে দিলেন, ১০ হাজার মতুয়ারা আবেদন করেছেন ইতিমধ্যে।

এদিন সকালে দলীয় কর্মী সমর্থকদের নিয়ে গাইঘাটা বাজারে প্রচারে বেরিয়েছিলেন শান্তনু ঠাকুর। প্রচার শেষে তিনি বলেন, ‘সিএএ মানুষের অধিকার। যাঁরা বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসেছেন তাঁরা বাংলাদেশের নাগরিক। তাঁরা ভারতবর্ষের নাগরিক নয়, তাঁদের অবশ্যই নাগরিকত্ব নিতে হবে।’ তাঁর কথায়, পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল সরকার কী বলছে না বলছে তাতে কিছু যায় আসে না। আমরা মতুয়া মহাসংঘের কার্ড করিয়ে দিচ্ছিলাম, যাতে এই মানুষগুলোর কোনও অসুবিধা না হয়।

‘আমরা জিতলে CAA হবে না, NRC তুলে দেব’ অসমের জনসভায় মন্তব্য মমতার

শান্তনু জানান, এই মুহূর্তে মতুয়া ৫ লাখ সদস্য আছেন যারা কার্ড হোল্ডার। তিনি বলেন, ‘এঁদের আমরা CAA-এর জন্য আবেদন করাচ্ছি। ইতিমধ্যেই দশ হাজার লোক আবেদন করেছেন। এরপর যারা নতুন করে আসবে তাদের জন্য আমরা শিবিরের আয়োজন করব।’

Lok Sabha Election 2024 : সিএএ কি ব্যুমেরাং! জোর চর্চা বনগাঁয়
অন্যদিকে, বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরের মন্তব্য নিয়ে পালটা কটাক্ষ তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাসের। তিনি বলেন , ‘শান্তনু শুধু মিথ্যা কথা বলেন। এই পাঁচ বছরে এই একটাই কাজ শিখেছে। মিথ্যে কথা বলা।’ একজন মতুয়াও সিএএ তে আবেদন করেননি বলে দাবি তাঁর। যদিও, সরকারিভাবে কতজন মতুয়া নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছেন, সেই ব্যাপারে কোনও পরিসংখ্যান দেওয়া হয়নি। CAA এবারের নির্বাচনে আদৌ কোনও প্রভাব ফেলবে কিনা, সেটা সময়ই উত্তর দেবে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version