‘কলকাতা একটা সময় দেশের অর্থনৈতিক উন্নতির নিরিখে সবার আগে থাকত, কিন্তু রাজনীতির জন্য তা নষ্ট হয়ে গিয়েছে’, সম্প্রতি একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় এমনটাই মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর মোদীর সেই মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া দিল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস।এই বিষয়ে তৃণমূল নেতা শান্তনু সেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নিজেও খুব ভালো করে জানেন, বিগত ১০ বছরে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বাংলাকে কেন্দ্রীয় সরকার বঞ্চিত করেছে। একদিকে ৩৪ বছরে সিপিএম বাংলাকে শশ্মানে পরিণত করেছে, অন্যদিকে বিগত ১০ বছরে বিজেপির প্রতিহিংসা পরায়ন রাজনীতি, এই দু’টোর মাঝেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে বাংলা বিগত ১৩ বছরে যথেষ্ট এগিয়েছে, সেটা প্রধানমন্ত্রী নিজেও খুব ভালো মতো জানেন, রাজনীতির কারণে মুখে সেটা স্বীকার করতে দ্বিধাগ্রস্থ হচ্ছেন।’

ঠিক কী বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী?

একটি সর্বভারতী সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকার প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলা ধ্বংস হয়ে গিয়েছে, একটা সময় কলকাতা অর্থনৈতিক উন্নতির নিরিখে দেশের মধ্যে সর্বাগ্রে থাকত, কিন্তু রাজনীতির জন্য তা নষ্ট হয়ে গিয়েছে, মহারাষ্ট্রকে অন্তত সেই পথে যেতে দেওয়া যাবে না।’ মোদীর আরও বলেন, ‘মুম্বই দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী, মহারাষ্ট্রে আমাদের আরও শক্তিশালী হতে হবে, যাতে দেশের উন্নতিতে সেই রাজ্যের যথেষ্ট অবদান থাকে।’

বিনিয়োগ টানতে উদ্যোগী রাজ্য

উল্লেখ্য রাজ্যের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য একের পর এক পদক্ষেপ গ্রহণ করে চলেছে সরকার। একদিকে যেমন, বছর বছর বাণিজ্য সম্মেলনের মধ্যে রাজ্যে বিনিয়োগ আনার চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার, কৃষি সহ বিভিন্ন পরিকাঠামোগত ক্ষেত্রেও উন্নয়নের চেষ্টা করা হচ্ছে। রাজ্যে কর্মসংস্থানের অভাব নেই বলেও বারেবারেই বলতে শোনা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এমনকী এখনও প্রচুর কর্মসংস্থানের সুযোগ রাজ্যের হাতে রয়েছে বলেও বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সমালোচনায় সরব বিরোধীরা

যদিও বিরোধীদের তরফে রাজ্যের কর্মসংস্থান তথা অর্থনীতি সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বারেবারেই রাজ্যকে নিশানা করা হয়েছে। রাজ্যে শিল্প আসেনি বা রাজ্য সরকার কর্মসংস্থান তৈরি করতে পারেনি বলে অভিযোগ শোনা যায় বিরোধীদের মুখে। যদিও শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস তথা রাজ্য সরকার অবশ্য কোনওভাবেই বিরোধীদের সেই দাবি মানতে রাজি নয়। কিন্তু এবার দেখা গেল খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অর্থনীতি নিয়ে কলকাতা সহ গোটা রাজ্যের সমালোচনায় সরব হলেন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version