মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হয় আজই। দশম শ্রেণীর ছাত্রী পরীক্ষার ফলভালোই হয়েছে। গতকাল পর্যন্ত আনন্দে ছিল পরিবারের লোকজন। এমনকি, কাল নিজের প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে যায় কিশোরী। কিন্তু, আজ সকালে কিশোরীরর পরিণতিতে শোকস্তব্ধ সকলে। মর্মান্তিক ঘটনা জলপাইগুড়ি জেলায়।রেশমী রায় নাম ছাত্রীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে শোকস্তব্ধ গোটা এলাকা। এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল সে। জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি এলাকার বাসিন্দা সে। পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর দেখা যায়, সে উত্তীর্ণ হয়েছে পরীক্ষায়। কিন্তু, হঠৎাই প্রাণ হারায় ওই যুবতী। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে , গতকাল রাত থেকেই তাঁর শরীর অসুস্থ ছিল। রাতে খাওয়ার খাবার পর থেকেই বমি করতে শুরু করে।

অসুস্থতা বেড়ে যাওয়ার কারণে তাঁকে ময়নাগুড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। কিন্তু শেষরক্ষা করা যায়নি। আজ, বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। গোটা পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। শোকস্তব্ধ পাড়া প্রতিবেশীরাও। এভাবে এক কিশোরীর মৃত্যুতে মুষড়ে পড়েছে তার সহপাঠীরাও।

র‌্যাঙ্ক করবেই, আত্মবিশ্বাসী ছিল মাধ্যমিকে সপ্তম আবৃত্তি

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রেশমী ময়নাগুড়ি চারের বাড়ি স্কুলে পড়াশোনা করত। তাঁদের পরিবার বাড়ি টেকাটুলি এলাকায়। এলাকারই এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল ওই রেশমীর। বুধবার রাতেই তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল সেই কিশোরীর। এমনকি, পরিবারের লোকজন তাদের সম্পর্কের কথা জানত। পরিবারের দাবি, রাতে নির্দিষ্ট সময়েই ছাত্রী বাড়ি ফিরে আসে। বাড়ি ফিরে এসে সে রাতে খাওয়া দাওয়া করে।

টেস্টের রেজাল্টের পর স্কুলে গার্ডিয়ান কল! ৬৮৪ পেয়ে মাধ্যমিকে দশম হুগলির নীলাঙ্কন
কিন্তু, রাতে খাওয়া-দাওয়া করার পরেই সে হঠাৎ বমি করা শুরু করে। শরীর দুর্বল হয়ে যাওয়ায় তাকে স্থানীয় ময়নাগুড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু, ছাত্রীকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। তার অস্বাভাবিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। এদিকে, আজকেই তার মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়। স্কুলে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, ভালো ফল করেছে সে। কিন্তু, সেই ফলাফল দেখে যেতে পারল না সেই ছাত্রী। তবে, কিশোরীর হঠাৎ কী ভাবে মৃত্যু হল, সেই নিয়ে সন্দেশ দেখা দিয়েছে। ঘটনার তদন্ত করে দেখছে ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ। খাবারে কোনরকম বিষক্রিয়ার কারণে নাকি অন্য কোনও কারণ রয়েছে ওই কিশোরীর মৃত্যুর সে ব্যাপারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কিশোরীর মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছে গোটা পরিবার।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version