ব্যারাকপুরের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং নিজের হলফনামায় তথ্য গোপন করেছেন -এমনটাই অভিযোগ তুলল তৃণমূল কংগ্রেস। অর্জুন সিংয়ের মনোনয়ন বাতিল করার আর্জি জানাল তৃণমূল। স্ত্রী এবং পুত্রের সম্বন্ধে নির্দিষ্ট কিছু তথ্য তিনি হলফনামায় ‘গোপন’ করেছেন বলে দাবি করা হয়েছে তৃণমূলের তরফে। যদিও, বিষয়টি নিয়ে অর্জুন সিংয়ের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।শুক্রবার ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং-এর নির্বাচনী হলফনামায় কিছু ত্রুটির বিষয় উন্মোচন করল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের দাবি, অর্জুন সিং-এর নির্বাচনী হলফনামায় বর্ণিত তথ্যের সঙ্গে আসল তথ্যের অমিল রয়েছে। এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে একটি অভিযোগও দায়ের করবে তৃণমূল কংগ্রেস। অবিলম্বে অর্জুন সিং-এর মনোনয়ন বাতিলের দাবিও জানানো হয়েছে।

Abhishek Banerjee : ‘তৃণমূল অর্জুনকে খাঁচায় বন্ধ করে রেখেছিল’, আক্রমণ অভিষেকের

জেলা তৃণমূলের তরফে একটি সাংবাদিক বৈঠক করে জানানো হয়, হলফনামায় অর্জুন সিং জানিয়েছেন, ঊষা সিং তাঁর স্ত্রী এবং অভিরূপ কুমার সিং তাঁর উপর নির্ভরশীল। উল্লেখ্য, অভিরূপ কুমার সিং-এর সঙ্গে নিজের সম্পর্কের কোনও বিবরণ দেননি তিনি। অনুসন্ধানের পরে জানা যায় যে অভিরূপ আসলে তাঁর ছেলে। তবে অভিরূপের মা ঊষা সিং নন, শ্রাবন্তী সিং। হলফনামায় নিজের ছেলে হিসেবে বিধায়ক পবন সিংয়ের নামও উল্লেখ করেননি তিনি।

ব্যারাকপুরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে জেলা মহিলা সভাপতি কেয়া দাস বলেন, ‘আমরা জানি হিন্দু বিবাহ আইন অনুযায়ী একজন পুরুষ তাঁর বর্তমান স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের আগে দ্বিতীয়বার বিয়ে করতে পারেন না। তবে বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও আরও একবার বিয়ে করেছেন। ২০১৯ সালে তিনি এই তথ্য প্রকাশ করেননি এবং তাই আমরা কোনও পদক্ষেপ নিতে পারিনি কারণ আমাদের কাছে আমাদের বক্তব্যের সমর্থনে কোনও প্রমাণ ছিল না।’ তাঁর দাবি, এই তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় তিনি এখন ২০২৪ সালের নির্বাচনী হলফনামায় তা উল্লেখ করেছেন। এই ঘটনা স্পষ্টতই একজন নারীকে ছোট করার চেষ্টা। কেয়া বলেন, ‘হলফনামায় তিনি যে বিভ্রান্তিকর ও ভুল তথ্য উল্লেখ করেছেন এবং যেভাবে শ্রাবন্তী সিং-কে অসম্মান করেছেন, তা মহিলাদের প্রতি চরম অসম্মানকর।’

ব্যারাকপুরের ‘কুরুক্ষেত্রে’ মুখোমুখি পার্থ-অর্জুন, রথের রাশ কার হাতে?
তৃণমূলের তরফে জানানো হয়, ব্যারাকপুরের বাসিন্দাদের সচেতন হওয়া উচিত যে, অর্জুন সিং নিজের স্ত্রীকে সম্মান করেন না। বরং লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী-এর মতো প্রকল্পের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহিলাদের ক্ষমতায়ন করছেন। বিজেপি নেতারা যারা নিজেদের হিন্দু এবং রামভক্ত বলে দাবি করেন অথচ নারীদের অসম্মান করছেন তাঁদের বিরুদ্ধে মানুষের মতদান করা উচিত বলেই জানায় জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। যদি, তৃণমূলের তোলা অভিযোগের বিষয়টি নিয়ে এখনও পর্যন্ত নিজের মতামত জানাননি ব্যারাকপুরের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version