গোটা দেশ জুড়ে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির টার্গেট ৪০০ পার। একাধিক নির্বাচনী সভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী মোদীর সেকেন্ড ইন কমান্ড অমিত শাহ দাবি করছেন, বিগত চারটি দফায় বিজেপি ইতিমধ্যে ম্যাজিক ফিগার ছুঁয়ে ফেলেছে। পালটা বিরোধীদের দাবি, এবার আর সরকার গড়তে পারবে না এনডিএ জোট সরকার। মোদী-শাহর ‘৪০০ পার’ টার্গেট নিয়ে এবার খোঁচা অধীর রঞ্জন চৌধুরীর।শুক্রবার একটি সাংবাদিক বৈঠকে অধীর বলেন, ‘মোদী ৪০০ পার করার স্লোগান দিচ্ছেন। আর আমরা বলছি মোদী আপনি ক্ষমতায় এবছর আসবেন না।’ বিজেপির ৪০০ পার করার ভাবনা আদতে ‘অলীক কল্পনা’ বলে দাবি করেন অধীর। অধীর বলেন, ‘ মোদীর ক্ষমতাচ্যুত হওয়া আজকে বাস্তব। এবার ৪০০ পার করাটা স্বপ্নই থেকে যাবে। এবার মোদীর হার নিশ্চিত।’

লোকসভা নির্বাচনের চতুর্থ দফা শেষ হয়েছে। এখনও তিনটি দফা বাকি আছে। দু’দিন আগে রাজ্যে প্রচারে এসে অমিত শাহ জানিয়ে গিয়েছিলেন, চারটি দফার নির্বাচনেই ২৭০টি আসন জয়ের লক্ষ্যমাত্রা পার করে গিয়েছে বিজেপি। এবার বাকি তিনটি আসনে ৪০০ আসন দখলের লক্ষ্যের দিকে এগোচ্ছে বিজেপি। পালটা, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি সভা থেকে দাবি করেছেন, বিজেপি এবার গোটা দেশে ১৯০-১৯৫টি আসন পেতে চলছে। ২০০-র গণ্ডি বিজেপি পার হতে পারবে না বলে জানিয়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আজ বহরমপুরে ভোট, কী বলছেন অধীর চৌধুরী?

প্রসঙ্গত, সন্দেশখালির বেড়মজুর এলাকায় নতুন করে আন্দোলনে নেমেছেন মহিলারা। বিজেপির সমর্থনে আন্দোলন শুরু করেছেন মহিলারা। বিষয়টি নিয়ে অধীর চৌধুরী বলেন, ‘আমরা চাই সন্দেশখালি মহিলাদের উপর অত্যাচার বন্ধ হোক এবং যারা অত্যাচারী যাতে ধর্ষণকারী তাদের যেন সাজা হোক এই বাংলাতে এরা সন্দেশখালি করবার মতন সাহস না হয় এরকম শাস্তি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এটাই আমাদের দাবি।’

স্বজন বিয়োগের শোক ভুলে ভোটদান ‘পার্টিজান’ কৃষ্ণর পরিবারের, হবিষ্যি দিলেন অধীর
সন্দেশখালির মহিলাদের পাশে টাকার বার্তা দেন অধীর। তিনি বলেন, ‘সন্দেশখালি মা-বোনদের পাশে আমি নৈতিকভাবে আছি। তারা কী করে জানার দরকার নেই। কোন দলকে ভোট দেবে জানা দরকার নেই, সন্দেশখালি মা-বোনদের লড়াই সমর্থন করি।’ এই প্রসঙ্গে রাজ্যের শাসক দল এবং পুলিশকে একযোগে আক্রমণ করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। তিনি বলেন, ‘ সারা বাংলা জুড়ে তৃণমূল ও পুলিশের সন্ত্রাস চালিয়ে যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় বাহিরে চলে গেলে আরও সন্ত্রাস হবে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version