মাছে ভাতে বাঙালি। আর ইলিশ হলে তো কথাই নেই। আদরে, আমন্ত্রণে, ভুড়িভোজে, জামাই ষষ্ঠীতে-সব জায়গাতেই রসনা তৃপ্তির ‘হিট ফর্মুলা’ ইলিশ। কিন্তু, চলতি বছর প্রকৃতির ‘মুড স্যুইং’-এর ঠ্যালায় চিন্তায় আম আদমি। বাড়ির কর্তা থেকে সেই চিন্তার পৌঁছেছে গিন্নির কাছেও।দোরগোড়ায় জামাই ষষ্ঠী। বাজারে ইলিশ নেই। আর যাও বা টুকটাক পাওয়া যাচ্ছে তাতে হাত লাগালে দামের ছ্যাঁকায় ফোস্কা পড়া আটকানোর সাধ্যি কারও নেই। আদরের জামাই বাবাজির পাতে ইলিশ পড়বে তো? নাকি চিকেন-মটন দিয়েই সারতে হবে জামাই আদর? চিন্তায় মধ্যবিত্তরা।

দিঘার সমুদ্র থেকে ইলিশ উঠলে তা অন্যান্য বাজারগুলিতে ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু, ১৪ জুন পর্যন্ত সমুদ্রে মাছ ধরা নিষিদ্ধ। এদিকে ১২ জুন জামাইষষ্ঠী। ফলে বাজারে ইলিশের দেখা মিলবে কি না তা চিন্তায় মাছ ব্যবসায়ীরাও। মাছের প্রজননের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় সমুদ্র ও নদীতে মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় রাজ্যের মৎস্য দফতরের পক্ষ থেকে। এর কারণে সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে পারেননি বহু মৎস্যজীবী। একদিকে নিষেধাজ্ঞা এবং অন্যদিকে প্রকৃতির খামখেয়ালি আচরণ, ইলিশের দেখা বাজারে নেই বললেই চলে।

এদিকে আগামী ১২ জুন জামাই ষষ্ঠী। এদিন কি বাজারে মিলবে ইলিশ? মধ্যবিত্তের কথায় বাজারে আম, লিচু, কাঁঠালের দেখা মিললেও পাওয়া যাচ্ছে না ইলিশ। মাছ বিক্রেতা সুজয় দাস বলেন, ‘এই সময় কম বেশি ইলিশ পাওয়া যায়। কিন্তু, এই বছর আড়তে ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে না। গত কয়েক বছর ধরে সেভাবে দিঘার বাজারে ভালো ইলিশ ঢুকছে না। বাংলাদেশের কিছু ইলিশ বাজারে আসে। তার দামটাও অনেক বেশি। বহু গ্রাহক তা কিনতে চান না। ফলে সেভাবে ব্যবসাও হয় না। এবারে এখনও ইলিশের দেখা পাওয়া যাচ্ছে না বাজারে। ফলে জামাই ষষ্ঠীতে কতটা ইলিশের জোগান দেওয়া সম্ভব হবে? তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।’

দিঘা-মন্দারমণিতে প্রবল জলোচ্ছ্বাস, দেখুন ভিডিয়ো

এদিকে মৎস্য ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি চিন্তার ভাঁজ পড়েছে বাড়ির গিন্নিদের কপালেও। বছরের এই একটা দিন জামাই আপ্যায়ণে কোনও ‘ত্রুটি’ রাখতে চান না তাঁরা। মেয়েকে সেই হাতটায় তুলে দেওয়ার পরও বাবাজীবন এখন ‘ঘরের ছেলে’। কিন্তু, বহু বছর ধরে চলে আসা রীতিনীতির দিব্যি গেলে জামাই ষষ্ঠীতে একটা ইলিশের জন্য কর্তাকে রীতিমতো কড়া নির্দেশ দিয়ে থাকেন বাড়ির গিন্নিরা। কিন্তু, বাজারে যে ঝড়তি পড়তি ইলিশ রয়েছে তার দাম দেখে চোখ কপালে মধ্যবিত্তদের। আদৌ কি জামাইয়ের জন্য ‘ইলিশ আপ্যায়ণ’ সম্ভব হবে? পকেটের দিকে তাকিয়ে ঢোঁক গিলছেন নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্বশুররা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version