প্লাস্টিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে আগে থেকেই বিভিন্ন ধরনের বিধিনিষেধ ছিল। এবার সিঙ্গল ইউজ প্লাস্টিক ব্যবহারের ক্ষেত্রেও কড়াকড়ি করতে চলেছে কলকাতা মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে মেট্রোর তরফে জানিয়েও দেওয়া হয়েছে বিষয়টি। এমনকী কী কী জিনিস সিঙ্গল ইউজ প্লাস্টিকের মধ্যে পড়ছে, মোটামুটিভাবে তার একটা তালিকাও তুলে ধরা হয়েছে মেট্রোর তরফে।ওই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘মেট্রো চত্বরে সিঙ্গল ইউজ প্লাস্টিক ব্যবহার না করার জন্য মেট্রো ব্যবহারকারীদের অনুরোধ করা হচ্ছে। স্টেশনগুলিতে প্লাস্টিক বর্জ্যের উৎপত্তি হ্রাস করতে এবং তার পরিবেশ বান্ধব নিষ্পত্তির জন্য মেট্রো রেলওয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।’ এক্ষেত্রে সিঙ্গল ইউজ প্লাস্টিকের যে তালিকা মেট্রোর তরফে তুলে ধরা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে, কাঠি সহ ইয়ার বাড, প্লাস্টিকের লাঠি, বেলুন, প্লাস্টিকের পতাকা, ক্যান্ডি স্টিক, আইসক্রিম স্টিক, মিষ্টির বাক্স মোড়ানোর প্যাকিং, আমন্ত্রণপত্র, সিগারেটের প্যাকেট, পিভিসি ব্যানার ইত্যাদি। মেট্রোকে প্লাস্টিক মুক্ত রাখার জন্য যাত্রীদের কাছে আবেদনও জানান হয়েছে কর্তৃপক্ষের তরফে।

সিঙ্গল ইউজ প্লাস্টিক সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা

সিঙ্গল ইউজ প্লাস্টিক কি?

এগুলি হল একবার ব্যবহার করার পরে ফেলে দেওয়া প্লাস্টিকের জিনিস। এগুলিকে সাধারণত প্যাকেজিংয়ে ব্যবহৃত হয়। এর মধ্যে রয়েছে মুদির ব্যাগ, খাবারের প্যাকেজিং, বোতল, স্ট্র, পাত্র, কাপ এবং কাটলারি। বেশিরভাগ প্লাস্টিকই বায়োডিগ্রেডেবল নয়। এই ধরনের প্লাস্টিকগুলি পরিবেশ, বন্যপ্রাণী এবং মানুষের জন্য ক্ষতিকারক বলে বিবেচিত হয়। ক্রমবর্ধমান দূষণেও সেগুলির বিশেষ ভূমিকা থাকে। এগুলি থেকে নির্গত বিষাক্ত রাসায়নিক ভূগর্ভস্থ জলকে সহজেই সংক্রামিত করে, যা থেকে বিভিন্ন রোগও ছড়াতে পারে।

আইন কী বলছে?

নিষেধাজ্ঞা অগ্রাহ্য করে সিঙ্গল ইউজ প্লাস্টিক ব্যবহার করলে পরিবেশ সুরক্ষা আইন অনুযায়ী জেল কিংবা জরিমানা, অথবা উভয়ই হতে পারে। যদিও এখনও এই বিষয়ে সচেতনতার অভাব রয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। নানা অজুহাতে মানুষকে এখনও এই ধরনের প্লাস্টিক ব্যবহার করতে দেখা যায়।

উল্লেখ্য, প্লাস্টিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন নিয়মকানুন জারি করা হয়। এর আগে ২০২২ সালের ১ জুলাই থেকে ৭৫ মাইক্রনের কম পুরু প্লাস্টিকের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছিল কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। আর এই বিধি মানতে প্রতিটি রাজ্যকে সতর্কও করা হয়েছিল পর্ষদের পক্ষ থেকে। কিন্তু দু’বছর পরেও বিভিন্ন জায়গায় ওই প্লাস্টিকের ব্যবহার দেখা যায় রমরমিয়ে। নিয়ম অনুযায়ী এই ধরনের নিষিদ্ধ প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করতে সক্রিয় ভূমিকা নেওয়ার কথা সংশ্লিষ্টি দফতরের। কিন্তু বাস্তবে নজরদারি কতোটা চলছে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েই গিয়েছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version