শহর কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী জেলাগুলির মানুষকে আরও ভালো পরিষেবা দিতে একের পর এক পদক্ষেপ করে চলেছে কলকাতা মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। ব্লু লাইন বা উত্তর-দক্ষিণ করিডোরের পর গ্রিন লাইন বা ইস্ট-ওয়েস্ট করিডোর এবং পার্পল লাইন ও অরেঞ্জ লাইনেও চালু হয়েছে মেট্রো পরিষেবা। এমনকী গঙ্গার নীচ দিয়েও শুরু হয়েছে মেট্রো চলাচল। আগামীদিনে আরও বেশকিছু লাইনে মেট্রো চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে কর্তৃপক্ষের। সেক্ষেত্রে মেট্রো সম্প্রসারিত হতে পারে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর পর্যন্ত। বর্তমানে মেট্রো নিউ গড়িয়া পর্যন্ত চলছে। আগামীদিনে তা সম্প্রসারিত হয়ে বারুইপুরে পৌঁছে যেতে পারে।সম্প্রতি যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রে জয়ের পর এলাকায় যান সায়নী ঘোষ। সেখানে তাঁকে গড়িয়া-বারুইপুর মেট্রো প্রকল্প নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, এই মেট্রোর কাজ নিয়ে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় (বারুইপুর পশ্চিমের বিধায়ক) অনেকবার মন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। কিন্তু সেখান থেকে কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি। সেই বিষয়ে আবারও কথা বলা হবে। বারুইপুরের মানুষের যদি দাবি হয়, তাহলে আজ নয় তো কাল নিশ্চয় এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে।

এই প্রসঙ্গে মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্রর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘লাইন হলে সবাই জানবে, সবাই দেখতে পাবে। এই লাইনের একটা প্রস্তাব রয়েছে, যখন রেলের সিদ্ধান্ত হবে তখন কাজ হবে।’ উল্লেখ্য, এর আগে একবার মেট্রো রেলের তরফে জানান হয়েছিল, ভবিষ্যতে ব্যারাকপুর ও বারুইপুর পর্যন্ত পরিষেবা প্রদানের চিন্তাভাবনা রয়েছে। তবে সেই সমস্ত প্রস্তাবিত করিডোরের বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কোনও সময় বা দিনক্ষণ উল্লেখ করা হয়নি। যদিও এটা ঠিক, বারুইপুর ও ব্যারাকপুর পর্যন্ত মেট্রো রেল পৌঁছে গেলে পার্শ্ববর্তী জেলাগুলির আরও বহু মানুষ যে উপকৃত হবেন, তা আর নতুন করে বলার কিছু রাখে না।

এদিকে শুধু নয়া করিডোর তৈরি বা সেগুলি সম্প্রসারণই নয়, চালু লাইনগুলির উন্নয়ন করা এবং যাত্রীদের আরও ভালো পরিষেবা দিতেও একের পর এক উদ্যোগ নিয়ে চলেছে কলকাতা মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। তার অন্যতম হল ব্যাটারি এনার্জি স্টোরেজ সিস্টেম। এর ফলে টানেলে থাকা অবস্থায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট হলেও থেমে যাবে না রেক। বরং নির্দিষ্ট গতি বজায় রেখে পৌঁছে যাবে পরবর্তী স্টেশনে। মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, সবকিছু ঠিকঠাক চললে এই বছরের শেষের দিকে কলকাতা মেট্রোর ব্লু লাইনে চালু হতে পারে নয়া এই সিস্টেম।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version