উত্তরবঙ্গের উদ্দেশে রওনা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তার আগে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন তিনি।সোমবার দমদম বিমানন্দরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ভারত সরকার যখন খবরও পায়নি, তখন থেকেই আমাদের প্রশাসন তৎপর ছিল। সকাল ৯টা থেকে আমি নিজে মনিটরিং করছি। আমরা সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে অ্যাম্বুল্যান্স পাঠাই, চিকিৎসক পাঠাই, মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির ব্যবস্থা করি, মৃতদেহ উদ্ধার করি, বিপর্যয় মোকাবিলা দল পাঠাই। গোটাটাই আমরা করি।’মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও জানান, তিনি সকাল থেকেই উত্তরবঙ্গে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু বিমান পাননি। এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ফ্লাইটের এত দুর্দশা আমি জানতাম না। ১২:৪০-এর বিমান ফ্লাইট সকালে বুক হয়ে গিয়েছে। তারপরে আর মাঝে একটাও ফ্লাইট নেই। অথচ আমরা ফুয়েল চার্জ ফ্রি করে দিয়েছিলাম। এবার আমি ভাবব।’ এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি জানি না কী চলছে দেশে। রেলে বারবার দুর্ঘটনা। এর আগে যেটা হল সেখানেও আমি গিয়েছিলাম। এখনও অনেক মৃতদেহ পড়ে রয়েছে, যাদের কোনও শনাক্তকরণ হয়নি। হয়ত একসঙ্গে সৎকার করে দেবে।’

মুখ্যমন্ত্রীর আরও সংযোজন, ‘দুর্ঘটনা হতেই পারে, এটা কারও হাতে নেই। অ্যান্টি কলিশন ডিভাইস আমি তৈরি করে দিয়ে এসেছিলাম। রাজধানীর পরে একমাত্র দুরন্ত স্পিড আপ করেছিল। আমি জানি না সেটা এখন কোথায়। সেটাই নকল করে…, যত না করেছে, তার থেকে ভাড়া বাড়িয়েছে। এই জায়গাটা ব্ল্যাক স্পট। এর আগে গাইসাল দুর্ঘটনা হয়েছিল আরও একটু দূরে। চোপড়ার কাছে বর্ডারে ফাঁসিদেওয়াতে যে দুর্ঘটনাটি হয়েছে, এটা আরও মারাত্মক হতে পারত। একটা ট্রেন এসে যখন অপর একটা ট্রেনকে ধাক্কা মারে তখন ঠিক থাকে না, একটা বগি ভেঙে পড়বে না ১০টা।’

যদিও দুর্ঘটনাস্থলে তিনি যাবেন না বলেই জানান মুখ্যমন্ত্রী। বরং তার পরিবর্তে উত্তরবঙ্গে মেডিক্যাল কলেজে যাবেন বলে জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অ্যান্টি কলিশন ডিভাইস নিয়ে বলতে গিয়ে মমতা বলেন, ‘এটি প্রতিটি ট্রেনে লাগানো হয়েছিল। যদিও ড্রাইভারও ঘুমিয়ে পড়েন, তাহলেও অ্যালার্ম দেবে। দুটো ট্রেন কাছাকাছি চলে এসে এলে আটকে দেবে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version