যদিও এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। বরং দলের তরফে ঘোষিত প্রার্থী বিনয়কুমার বিশ্বাসের ভোট বৈতরণী পার করাতেই এখন ব্যস্ত সাংসদ শান্তনু ঠাকুর ও বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি দেবদাস মণ্ডল। রাতদিন প্রার্থীকে নিয়ে বাগদার বিভিন্ন প্রান্তে প্রচার চালাচ্ছেন তাঁরা। এক্ষেত্রে শান্তনু ঠাকুরের দাবি, বিনয়কুমার বিশ্বাসও বাগদার ‘ভূমিপুত্র’। তিনিও বাগদার এলাকারই বাসিন্দা। তাই তাঁকে ‘বহিরাগত’ বলা যায় না। শান্তনুর আরও দাবি, ৫০ জন নির্দল দাঁড়ালেও কোনও লাভ হবে না। বরং বিজেপির জয়ের ব্যবধার আরও বাড়বে। পাশাপাশি বিনয়কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘দল যাঁকে মনোনীত করবে, তিনিই লড়াই করবেন। যে কেউ প্রার্থী হতেই পারেন, সেটা তাঁর গণতান্ত্রিক অধিকার।’ উল্লেখ্য, গত বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে লড়ে জয়ী হন বিশ্বজিৎ দাস। যদিও পরবর্তীতে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে তিনি তৃণমূলের টিকিটে লড়লেও জয় অধরাই থাকে। এমনকী বনগাঁ লোকসভার বিধানসভা ভিত্তিক ফলাফলের দিক থেকেও বাগদায় ২৫ হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। যদিও পঞ্চায়েত ভোটে বাগদা বিধানসভার অন্তর্গত ৯টি পঞ্চায়েতের মধ্যে ৭টি যায় তৃণমূলের দখলে।
এদিকে ওই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মধুপর্ণা ঠাকুরও প্রচার চালাচ্ছেন জোরকদমে। তাঁর দাবি, গত ১০ কেন্দ্রের সরকার কোনও কাজ করেনি। বরং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের সুফল পেয়েছে মানুষ। আর প্রচারে মানুষের কাছে গিয়ে সেই সমস্ত কথাই তুলে ধরছেন মধুপর্ণা। নিজের জয় নিয়ে ১০০ শতাংশ আশাবাদী তিনি। অন্যদিকে রাজনৈতিকমহলের একাংশ মনে করছে, নির্দল প্রার্থীর ভোট কাটাকাটির ফায়দা পেতে পারে তৃণমূল।
যদিও লোকসভা ভোটের আগে দেশে সিএএ লাগু হওয়ায় মতুয়া সম্প্রদায়ের একটা অংশের মানুষের মধ্যে উচ্ছ্বাস দেখা দেয়। বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের ফলাফলেও তার প্রতিফলন দেখা গিয়েছে বলে মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের। এমনকী বাগদা উপনির্বাচনেও তার প্রভাব দেখা যেতে পারে বলে মনে করছেন কেউ কেউ। অন্যদিকে আবার এলাকার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ও বেশকিছু বাঁশের সাঁকো নিয়ে অসন্তোষ রয়েছে বাগদাবাসীর একাংশের মনে। সেক্ষেত্রে দেখার এবারের নির্বাচনে আদতে কাকে আশীর্বাদ দেয় বাগদার মানুষ।