সোপ-ট্যাঙ্কে নেমে অসুস্থ দুই
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হেমতাবাদের দক্ষিণ বাড়ইবাড়ি এলাকার এক বাসিন্দা মাস দুয়েক আগে সোপ-ট্যাঙ্ক তৈরির কাজ শুরু করেছিলেন নিজের বাড়িতে। এখনও পর্যন্ত তা সম্পূর্নরূপে নির্মাণ হয়নি। মঙ্গলবার সকালে দিকে ওই শ্রমিকদের মধ্যে একজন শ্রমিক সোপ-ট্যাঙ্কটি পরিষ্কার করার জন্য নিচে নামেন। কিন্তু ওই শ্রমিক সোপ-ট্যাঙ্কের মধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর অন্য এক শ্রমিক তাঁকে উদ্ধার করতে ওই সোপ-ট্যাঙ্কে নামেন। দ্বিতীয় শ্রমিকও সোপ-ট্যাঙ্কের ভিতরে নেমে অসুস্থ হয়ে পড়েন। ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা
বিষয়টি জানাজানি হতেই ঘটনাস্থলে ছুটে যায় আশেপাশের মানুষজন। স্থানীয় বাসিন্দারা তড়িঘড়ি ওই দুই শ্রমিকদের উদ্ধার করে হেমতাবাদ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়। সেখানেই কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় হেমতাবাদ থানার পুলিশ। মৃতদেহ দু’টি ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ গভর্মেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হেমতাবাদ থানার পুলিশ।
কী জানাচ্ছেন গ্রামবাসী?
এই বিষয়ে রবিতুল্লা সরকার নামে এক গ্রামবাসী জানান, ‘রেজাউল করিমের বাড়িতে একটি কুয়ো বানানো ছিল। সেই কুয়োটি পরিষ্কার করার জন্য তিন শ্রমিককে ডেকেছিলেন। প্রথমে একজন শ্রমিক পরিষ্কার করার জন্য নিচে নামতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে বাঁচানোর জন্য আরও একজন শ্রমিক নিচে নামালে তিনিও অসুস্থ হয়ে পড়েন। তড়িঘড়ি তাঁদেরকে কুয়োর থেকে উদ্ধার করে হেমতাবাদ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসক তাঁদেরকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।’ ঘটনায় শোকের ছায়া মৃতদের পরিবারে।