বাগদায় জয়ের আবির এবার তৃণমূলই খেলবে বলে আগেই দাবি করেছিলেন মধুপর্ণা ঠাকুর। আর সেই দাবিই প্রমাণিত হল। মতুয়া অধ্যুষিত বাগদায় জয়ী হলেন তৃণমূল প্রার্থী মধুপর্ণা ঠাকুর। ৩৩,৪৫৫ ভোটে জয়ী হলেন তিনি। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ১ লক্ষ ৭ হাজার ৭০৬। বিজেপি প্রার্থী বিনয়কুমার বিশ্বাস পেয়েছেন ৭৪,২৫১ ভোট। আর ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী গৌর বিশ্বাস পেয়েছেন ৮,১৮৯ ভোট।এদিন মধুপর্ণা বলেন, ‘আগে থেকেই বলেছি জয় নিশ্চিত। এবার জয়ের আবির আমরাই খেলব। মানুষ বুঝতে পেরেছে। দিদি ছাড়া কেউ উন্নয়ন করতে পারবে না।’ ভোটের দিন বাগদা বিধানসভা কেন্দ্রে বিভিন্ন সময় উত্তেজনার খবর উঠে আসে। বিজেপির তরফ থেকে বারেবারেই সন্ত্রাসের অভিযোগ করা হয়। এদিন তার প্রেক্ষিতে মধুপর্ণা বলেন, ‘হেরে গিয়েছেন, এখন কাঠিবাজি ছাড়া আর কোনও কাজ নেই। এখনও কাঠিবাজি করে যাচ্ছেন। আমি তো ঘরে বসে ভাবছিলাম যে বিনয়কুমার বিশ্বাসের তো কোনও কাজ নেই। তিনি ঘরে বসে পপকর্ন খান, আর দেখুন তৃণমূল জিতছে।’

ভোটে জিতে মানুষকে ধন্যবাদও জানান মধুপর্ণা। তিনি বলেন, ‘আমায় ঘরের মেয়ে হিসেবে সবাই যে আশীর্বাদ করেছে, তার জন্য তাদের ধন্যবাদ। আমি যেন কাজ করতে পারি। যেন তাদের পাশে দাঁড়াতে পারি।’ একইসঙ্গে বাড়ির পারিবারিক সমস্যারও তিনি সমাধান করতে চান বলে জানান মধুপর্ণা। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই নিজের পৈতৃক ভিটে তথা বড়মা বীণাপানি দেবীর ঘর ফিরে পাওয়ার দাবিতে আন্দোলনে বসেছিলেন ঠাকুরনগর ঠাকুরবাড়ির সদস্যা তথা কপিলকৃষ্ণ ঠাকুর ও তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের মেয়ে মধুপর্ণা ঠাকুর। মতুয়া ভক্তদের একাংশ তাঁর সঙ্গে এই লড়াইয়ে শামিলও হয়েছিল, যা বিশেষ নজর কারে তৃণমূল নেতৃত্বের।

বর্তমানে মধুপর্ণা ঠাকুর সারা ভারত মতুয়া মহাসংঘের সহ-সংঘাধিপতি। ঠাকুরনগরে অবস্থিত পিআর ঠাকুর গভর্নমেন্ট কলেজ থেকে প্রাণিবিদ্যায় স্নাতক মধুপর্ণা। ঠাকুরবাড়ি হোক বা মতুয়া আন্দোলন, সবেতেই নতুন মুখ হিসেবে উঠে এসেছেন তিনি। অবশেষে বাগদা বিধানসভা উপনির্বাচনের মধ্যে দিয়ে প্রত্যক্ষ রাজনৈতিক জীবনের পা রাখলেন তিনি। সম্পর্কে তুতো দাদা তথা ঠাকুর পরিবারের আরও এক সদস্য শান্তনু ঠাকুর বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রে দ্বিতীয়বারের জন্য জয়ী হয়েছেন। আর বোনও এবার বাগদা বিধানসভার উপনির্বাচনে জয়ী হয়ে জনপ্রতিনিধি। সেক্ষেত্রে এখন দেখার ঠাকুর বাড়ির অন্দরমহলের চিত্র, রাজ্য রাজনীতিতে কী প্রভাব ফেলে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version