এই সময়: বাসের আয়ু বাড়াতে শেষপর্যন্ত আদালতের শরণাপন্ন হচ্ছেন মালিকরা। বেসরকারি বাস মালিকদের বৃহত্তম সংগঠন জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বাসের আয়ু আরও অন্তত দু’বছর বাড়ানোর জন্য চলতি সপ্তাহেই কলকাতা হাইকোর্টের কাছে আবেদন জানানো হবে।বেসরকারি বাস মালিক সংগঠনের বক্তব্য, ২০০৯ সালে আদালত বাসের বয়সসীমা ১৫ বছর বেঁধে দিলেও করোনার কারণে তা আরও দু’বছর বাড়াতে রাজ্য সরকারের কাছে তাঁরা আগেই আবেদন জানিয়েছিলেন। সরকার অবশ্য বিষয়টিকে খুব একটা আমল দেয়নি। তাই বেসরকারি বাস মালিকরা আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন।

ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনালের নির্দেশ মেনে যে সব বাস এবং মিনিবাসের বয়স ইতিমধ্যেই ১৫ বছর পার হয়ে গিয়েছে বৃহস্পতিবার থেকে সেগুলি আর রাস্তায় নামতে পারবে না। একই কারণে পণ্যবাহী ট্রাক, ম্যাটাডোর, ট্যাক্সি সহ হলুদ প্লেটের সমস্ত ধরনের বাণিজ্যিক গাড়ি ধাপে ধাপে বসিয়ে দিতে হবে। তার জেরে আগামী দিনে যাত্রী এবং পণ্য পরিবহণ দু’টোই সঙ্কটে পড়বে।

যদিও পরিবহণ দপ্তরের কর্তাদের ব্যাখ্যা, ২০০৯ সালের আগস্টে গ্রিন বেঞ্চ রায় দিলেও নতুন বাস নামতে আরও মাস দু’য়েক মাস সময় লেগেছিল। সেই হিসেবে সেপ্টেম্বর-অক্টোবর থেকে এর প্রভাব পড়তে শুরু করবে। আদালত থেকে নতুন করে কোনও নির্দেশ না এলে আগামী তিন-চার মাসের ভিতর কলকাতা এবং শহরতলি এলাকায় প্রায় হাজার দেড়েক বাসকে বসিয়ে দিতে হবে। পণ্যবাহী ট্রাক, ম্যাটাডোর এবং ট্যাক্সি মিলিয়ে আরও অন্তত দু’হাজার বাণিজ্যিক গাড়ি পুরোপুরি ভাবে বসে যাবে।

ফেডারেশন অব ওয়েস্টবেঙ্গল ট্রাক অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক প্রবীর চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘আগামী কয়েক মাসের মধ্যে বহু ট্রাক বাতিল হয়ে যাবে। লোহার দরে সেগুলো বিক্রি করে দিতে হবে। ফলে ভবিষ্যতে পণ্য পরিবহণের ক্ষেত্রে খুবই সমস্যা হবে।’

রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী অবশ্য জানিয়েছেন, কেএমডিএ এলাকার বাইরে অবশ্য এই নিয়ম কার্যকর হবে না। ১৫ বছর পেরিয়ে গেলেও সেখানে কোনও বাসকে এখনই স্ক্র্যাপ করা হচ্ছে না।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version