গত ২২ অগস্ট ধর্ষণের বিরুদ্ধে কড়া আইন চেয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। কিন্তু এখনও সেই চিঠির পাল্টা প্রধানমন্ত্রীর তরফে এখনও কোনও উত্তর মেলেনি, এই দাবি করে ফের মোদীকে চিঠি দিলেন মমতা। আবারও ধর্ষণের বিরুদ্ধে কড়া আইন আনার পক্ষে সওয়াল করেন তিনি। পাশাপাশি তাঁর আগের চিঠির গুরুত্ব তলিয়ে না দেখেই একটি উত্তর দেওয়া হয়েছে নারী ও শিশু কল্যাণমন্ত্রীর তরফে, জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।আরজি কর হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় উত্তাল রাজ্য। দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছে সমস্ত মহল। ধর্ষণের কঠোর সাজার জন্য দেশে কড়া আইন প্রণয়ন হোক, গত ২২ অগস্ট নরেন্দ্র মোদীকে দেওয়া একটি চিঠিতে এমনটাই আর্জি জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি তিনি ছাত্র পরিষদের মেয়ো রোডের সমাবেশ মঞ্চে অংশ নিয়ে জানিয়েছিলেন, ধর্ষকের ফাঁসির শাস্তি চাই, পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় এই বিল এনে পাশ করিয়ে রাজ্যপালের কাছে পাঠানো হবে।
এরইমধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফের এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই চিঠিতে ধর্ষণের মতো অপরাধের ক্ষেত্রে ‘দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি’-র দাবি করেছেন। পাশাপাশি তিনি লিখেছেন, ‘আগের চিঠির প্রেক্ষিতে আপনার (প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী)-র তরফে কোনও জবাব পাইনি। কিন্তু, আমার তোলা ইস্যু তলিয়ে না দেখেই একটি চিঠি আমাকে দেওয়া হয়েছে নারী ও শিশু কল্যাণমন্ত্রীর তরফে।’
রাজ্যের তরফে সুরক্ষা সংক্রান্ত বেশ কিছু পদক্ষেপের উল্লেখ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘এমার্জেন্সি পরিস্থিতি’-তে সাহায্যের জন্য ১০০, ১১২, ১০৯৮ নম্বরগুলি ফোন করতে পারেন সাধারণ মানুষ এবং এই উদ্যোগ সফল বলেও চিঠিতে উল্লেখ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই চিঠিতে তিনি ফের একবার ধর্ষণ বিরোধী কঠোর আইন আনার পক্ষে সওয়াল করেছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ফের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের এই চিঠি দেওয়া অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।