এই সময়: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের ঘটনায় শারদোৎসবের মধ্যেই বিভিন্ন আঙ্গিকে প্রতিবাদ চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। এই আবহে শুক্রবার রাত থেকে বিমান বসুর একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করতে শুরু করেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের একাংশ এবং নিচুতলার নেতাদের কেউ কেউ। সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে একটি রেস্তোরাঁর টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে প্রবীণ বাম নেতা। কিছুটা পিছনে কয়েকটি টেবিলে অন্য অতিথিরা খাওয়া-দাওয়া করছেন (এই ছবির সত্যতা যাচাই করেনি ‘এই সময়’)।আপাতদৃষ্টিতে জাতীয় সড়কের ধারে দূরপাল্লার বাসযাত্রীরা যে ধরনের রেস্তোরাঁয় খাওয়া-দাওয়া করেন, বিমানকে তেমনই একটি জায়গায় দেখা যাচ্ছে। তাঁর এই ছবি ফেসবুকে শেয়ার করে তৃণমূলের কর্মীদের অনেকে লিখেছেন, ‘উৎসবে ফিরব না, শুধু রেস্তোরাঁয় খেতে যাব।’ তবে এই হাতিয়ার খানিকটা ব্যুমেরাং হয়ে ফিরেও এসেছে।

তৃণমূলেরই প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ এই ছবি প্রসঙ্গে ফেসবুকে লিখেছেন, ‘বিমান বসুকে নিয়ে শুক্রবার রাত থেকে এই ছবি এবং বিভিন্ন মন্তব্যের পোস্ট ঘুরছে। সাধ্যমতো আমি আপত্তি জানিয়েছি। আমার মন্তব্যের পরে একাধিক ফেসবুক-বন্ধু বিমানদাকে নিয়ে এই পোস্ট ডিলিট করেছেন।’

বিমানের ছবি কেন ডিলিট করার পরামর্শ দিচ্ছে তৃণমূল? কুণালের ব্যাখ্যা, ‘আমার মনে হয় দূরপাল্লার কোনও যাত্রার মাঝে এটা কোনও দোকান। নদিয়া জেলা হতে পারে। বিমানদা এখন কোনও রেস্তোরাঁয় খেতে যাবেন— এটা অসম্ভব। ছবিটা কবেকার তা অবশ্য জানি না। দূরের যাত্রা হলে মাঝপথে কোথাও বসাটা স্বাভাবিক।’
তৃণমূল নেতার পুজো ফতোয়া ঘিরে বিতর্ক
প্রয়াত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ও সীতারাম ইয়েচুরির স্মরণসভা উপলক্ষ্যে শনিবার বহরমপুরে ছিলেন বিমান। কলকাতা থেকে সড়কপথেই তিনি সেখানে যান। আলিমুদ্দিন স্ট্রিট সূত্রের খবর, এই পথে গেলে বিমান কৃষ্ণনগরের আশেপাশে রাস্তার ধারে কোনও দোকানে চা অথবা কফি খান। তার পর আবার রওনা দেন।

সৌজন্য দেখিয়ে তৃণমূল কর্মীরা বিমানের ছবি নিয়ে পোস্ট ডিলিট করেছেন বলে কুণাল যুক্তি দিলেও সিপিএমের যুব নেতা সৃজন ভট্টাচার্যের বক্তব্য, ‘আমরা কখনও বলিনি কেউ উৎসবে যোগ দেবেন না। কেউ পুজো করবেন না। কয়েক দিন আগে এঁরাই শতরূপের ভাইঝির ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে ব্যাঙ্গ করেছেন। এখন বিমানদার ছবি পোস্ট করেছেন। কোনও সৌজন্য নয়, মানুষের মনোভাব বুঝেই তৃণমূল বিমানদার ছবি ডিলিট করতে বাধ্য হচ্ছে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version