মণিপুস্পক সেনগুপ্ত
রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে এ বছর উৎসব এড়িয়ে যাওয়ার কৌশল নিয়েছে বঙ্গ-বিজেপি। রীতি মেনে পুজোয় থাকলেও দলের কোনও নেতা-কর্মী যাতে উৎসবে গা না-ভাসান, সেই বার্তা দলের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে পাঠানো হয়েছে জেলাগুলিতে। দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার শনিবার ঘোষণা করেছেন, আরজি কর এবং কুলতলির ঘটনার প্রেক্ষিতে এ বছর আর কোনও পুজো উদ্বোধন করবেন না তিনি— ‘এ বছর উৎসবের পরিস্থিতি নেই। তাই আর কোনও পুজো মণ্ডপ উদ্বোধনে যাব না।’আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে বামপন্থীদের একাংশ ‘উৎসবে ফিরছি না’ বলে প্রচার শুরু করে। অন্যদিকে বিজেপি দুর্গাপুজো করার কথা বললেও উৎসবের প্রসঙ্গ সযত্নে এড়িয়ে যায়। কিন্তু ডাক্তারদের আন্দোলনের ঝাঁজ যত বেড়েছে, ততই ‘উৎসব’ সম্পর্কে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে পদ্ম-ব্রিগেড। দলীয় স্তরে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ঘটা করে এ বছর উৎসবে সামিল হবেন না বিজেপি-র কেউ। দলের নিচুতলার নেতা-কর্মীরা যাতে ঠাকুর দেখার ছবি, ভিডিয়ো পোস্ট না-করেন, সে বিষয়ে রাজ্য দপ্তর থেকে সতর্কবার্তা গিয়েছে জেলাগুলিতে।

রাজ্য বিজেপি-র এক পদাধিকারীর কথায়, ‘পুজোর দিনগুলিতে সকলে ঠাকুর দেখবেন, আনন্দ করবেন সেটা স্বাভাবিক। আমাদেরও অনেকে প্যান্ডেলের সামনে দাঁড়িয়ে সেলফি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। কিন্তু এ বছর সে রকম কিছু না-হওয়াই বাঞ্ছনীয়। আরজি কর এবং কুলতলির ঘটনায় রাজ্যে শোকের আবহ রয়েছে। পুজো পুজোর মতো হোক। কিন্তু ফুর্তি করার পরিবেশ নেই।’

বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আগামী ১৪ তারিখ রেড রোডের কার্নিভাল উপেক্ষা করার ডাক দিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘আরজি করের ঘটনা আমাদের সকলকে নাড়িয়ে দিয়েছে। মানুষ পথে নেমে আন্দোলন করছে। আমরা যেন ভুলে না যাই, ওই তরুণী চিকিৎসকের চোখে জল ছিল না, রক্ত ছিল। সকলের কাছে আবেদন, পুজো শেষে রাজ্য সরকারের ওই কার্নিভাল উপেক্ষা করুন।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version