এই সময়, কালনা: লক্ষ্য ছিল পুলিশে চাকরি করার। তাই শারীরিক সক্ষমতার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে নিয়মিত ভোরে উঠে চলে যেতেন অনুশীলনে। সেই অনুশীলন সেরে ট্রেনে বাড়ি ফেরার পথে চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে মৃত্যু হলো এক তরুণীর। নাদনঘাটের নসরতপুর সিদ্ধেপাড়ার বাসিন্দা সদ্য রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সাম্মানিক স্নাতক উত্তীর্ণ ওই তরুণীর নাম আলফা খাতুন (২১)।এ বারেই তিনি স্নাতক উত্তীর্ণ হওয়ায় আসন্ন পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ও কলকাতা পুলিশের পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সোমবার সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে কালীনগর ও নবদ্বীপ ধাম স্টেশনের মাঝে। তাঁকে উদ্ধার করে কালনা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। তিনি কী ভাবে ট্রেন থেকে পড়ে গেলেন তা তদন্ত করে দেখছে কালনা জিআরপি।

মৃতের বাবা সাদেক শেখ বলেন, ‘পাঁচ মেয়েরই লেখাপড়ার প্রতি ঝোঁক। চতুর্থ মেয়ে আলফার ইচ্ছে ছিল পুলিশে চাকরি করার। রোজ ভোরে ট্রেন ধরে চলে যেত নবদ্বীপে শারীরিক সক্ষমতার অনুশীলনে। সোমবারও ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। সাড়ে ৮টা বেজে গেলেও বাড়ি না ফেরায় স্ত্রী বলে ফোন করতে। ফোন করলে রিং হয়ে গেলেও কেউ ধরেনি। কিছুক্ষণ পর ফোন বন্ধ হয়ে যায়। তার পরই জিআরপি থেকে ফোন করে জানায়, কাউকে নিয়ে কালনা হাসপাতালে আসতে। গিয়ে দেখি মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। বলল, মেয়ে ট্রেন থেকে পড়ে গিয়েছে। মেয়ে ট্রেন থেকে পড়ে গিয়েছে এটা বিশ্বাস করতে পারছি না। মেয়েটার পুলিশ হওয়ার স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল।’

ওই তরুণী কী ভাবে ট্রেন থেকে পড়ে গেলেন তা তদন্ত করে দেখছে জিআরপি। মেয়েটির ফোনের কল লিস্ট ও তথ্য খতিয়ে দেখছে জিআরপি। ওই ট্রেনের কিছু যাত্রী সমুদ্রগড় স্টেশনে থাকা জিআরপি-কে চিৎকার করে বলে যায়, একটি মেয়ে ট্রেন থেকে পড়ে গিয়েছে। কালনা জিআরপি-র ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা প্রত্যক্ষদর্শীদের খুঁজছি। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version