নারায়ণ সিংহ রায়: ভারী বর্ষায় (Heavy Rain) ভয়ংকর পরিস্থিতি পাহাড়ে। পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) থেকে সিকিম (Sikkim)– সর্বত্র এক ছবি। কোথাও ধস (Landslide), রাস্তা বন্ধ, কোথাও নদীর প্লাবন (Roads Submerged), কোথাও রাস্তা বন্ধ। সাধারণ মানুষ থেকে পর্যটক– কঠিন পরিস্থিতির শিকার সকলে। সব মিলিয়ে প্রতি বর্ষায় এ অঞ্চলে একটা অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়।
ধসের মুখে সিকিম
কালিঝোরা এবং লোহাপুলের মাঝে বিরিকধারা এলাকা ধসের মুখে বিপর্যস্ত। গতকাল সোমবার মধ্যরাত থেকে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হচ্ছে পাহাড়-সহ সমতলে। বিশেষত সিকিমের উপরিভাগের অঞ্চলে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়েছে। ফলস্বরূপ, ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে তিস্তা। জাতীয় সড়কের একাধিক জায়গায় রাস্তার উপর দিয়ে জল প্লাবিত হতে থাকে।
দার্জিলিং-কালিম্পং
এদিকে ধসে এবং বৃষ্টিসংক্রান্ত বিপর্যয়ে পথেই আটকে বহু মানুষ। জাতীয় সড়কের দুপাশে গাড়ির লম্বা লাইন। শুধু মাত্র পর্যটকই নন, প্রশাসনিক কাজেও বহু মানুষ এই রাস্তা ব্যবহার করেন। তাঁরাও বিপাকে পড়েছেন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় দাঁড়িয়ে যানবাহন। বৃষ্টির জেরে ভয়ংকর পরিস্থিতি দার্জিলিংয়ে। সিংতাম-গ্যাংটক মেন রোডে ফাটল। ফলে, একই সঙ্গে সাধারণ গাড়ি এবং ট্যুরিস্ট ভেহিকল পরপর দাঁড়িয়ে। রাস্তায় তীব্র যানজট। গ্যাংটকে ঢোকা বন্ধ! তিস্তার জল উঠে এসেছে রাস্তায়। দার্জিলিং কালিম্পংয়ে যেতে পারছেন না মানুষ।
বিধ্বংসী তিস্তা
পাহাড়ে অবিরাম বৃষ্টির জেরে ধস, বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি সমতলের জলপাইগুড়ি জেলা জুড়ে। তিস্তা ব্যারেজ থেকে দফায় দফায় জল ছাড়ার কারণে দোমোহনিতে অসংরক্ষিত এলাকায় লাল সর্তকতা এবং সংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সর্তকতা জারি হয়েছে। এর পাশাপাশি জলঢাকা নদীর উপর সংরক্ষিত এবং অসংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সর্তকতা রয়েছে। পাশাপাশি মেখলিগঞ্জ বাংলাদেশ বর্ডার পর্যন্ত তিস্তা নদীর উপরে হলুদ সতর্কতা জারি করেছে সেন্ট্রাল ফ্লাড কন্ট্রোল বোর্ড জলপাইগুড়ি। অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ, মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি গজলডোবা ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ অনেকটাই বেশি বলে জানা যায়।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)