Dakshin 24 Pargana : জলের অপর নাম জীবন। আর সেই পানীয় জল পেতেই এখন হাহাকার করতে হচ্ছে গঙ্গাসাগরের রাম করকরচর গ্রাম পঞ্চায়েতের সামন্ত পাড়া সহ বেশ কয়েকটি পাড়ার বাসিন্দাদের। প্রচণ্ড দাবদাহে পুড়ছে গোটা দক্ষিণবঙ্গ। তাপমাত্রার পারদ ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর তার মধ্যেই বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে তীব্র জলকষ্ট।

কোনও কোনও জায়গায় জলস্তর নেমে যাওয়ার ফলে মিলছে না পানীয় জল। আবার কোনও কোনও জায়গায় দীর্ঘদিন ধরেই বেহাল হয়ে পড়ে রয়েছে পানীয় জলের কল। বারে বারে প্রশাসনকে জানানো সত্ত্বেও কোনও সুরাহা মেলেনি। এমনই ছবি ধরা পড়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার গঙ্গাসাগরের রামকড়চর গ্রাম পঞ্চায়েতে।

Water Crisis In Bankura : অচল সাবমারসিবল-ভাঙা নলকূপ, তীব্র দাবদাহে পানীয় জলের সংকটে বিষ্ণুপুর
এই গ্রাম পঞ্চায়েতেরই ২৬ টি বুথের মধ্যে খাসরামকর ৬৪ নম্বর ৬৫ নম্বর ও ৬৬ নম্বর বুথে প্রায় কয়েক হাজার মানুষের বসবাস। তাদের দাবি দীর্ঘ দেড় থেকে দু’বছর পানীয় জলের কল বেহাল হয়ে পড়ে রয়েছে। পঞ্চায়েত সদস্যকে জানালে তিনি শুধু আশ্বাস দেন, কাজ আর হয় না।

যে কারণেই বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন এলাকার মানুষজন। এক গ্রামবাসী জানান, “আগামি পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে পানীয় জল না মিললে আমরা ভোট বয়কটের দিকে যাব। প্রচণ্ড দাবদাহের মধ্যেই পানীয় জলের সমস্যায় গ্রামবাসীদের এক থেকে দুই কিলোমিটার দূরে জল আনতে যেতে হচ্ছে। মাথায় করে কেউ বা সাইকেলে করে কেউ বা অগত্যা পুকুরের নোংরা জলই পান করছেন। যার জেরেই অসুস্থ হয়ে পড়ছে এলাকার শিশুরা।”

Howrah News : পানীয় জলের সংকট মেটাতে কন্ট্রোল রুম খুলল হাওড়া পুরসভা, জেনে নিন নম্বর
ভোট আসে, ভোট যায় কিন্তু পরিবর্তন হয় না এই নিম্নবিত্ত মানুষদের দাবিগুলি। তবে এই বিষয় নিয়ে রামকরচর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য প্রতিনিধি তপন কুমার দেবনাথ জানান, “এই কলগুলি এর আগে দুবার করে সারানো হলেও আবার খারাপ হয়েছে। আমরা জেলা পরিষদকে জানিয়েছি। এক সপ্তাহের মধ্যেই তৈরি হবে নতুন কল।”

অন্যদিকে আবার এই বিষয় নিয়ে সুর চড়িয়েছে বিরোধীরা।DYFI সাগর আঞ্চলিক কমিটির সদস্য অশোক কুমার দাস জানান, “শুধুমাত্র এই চিত্রটা রামকরচড় নয়, বেশিরভাগ জায়গাতেই সাধারণ মানুষ পানীয় জলটুকুও পাচ্ছেন না।”

Summer Heat : এক বালতি জলের জন্য গোটা ১ দিনের অপেক্ষা! চাঁদিফাটা গরমে নাজেহাল বাসিন্দারা
অন্যদিকে BJP-র পক্ষ থেকে কটাক্ষ করে জানানো হয়েছে, জলের অপর নাম জীবন, আর সেই জলই এখন সাধারণ মানুষ পাচ্ছেন না। এই উন্নয়নই আগামি দিনে দেখতে হবে।তবে এই এলাকার মানুষের জলকষ্ট কবে দূর হবে, কবে মিলবে পানীয় জল, সেই আশাতেই দিন গুনছেন সামন্ত পাড়া সহ বেশ কিছু এলাকার মানুষ।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version