বাঙালির ঘরের কাছে বিলেত ভ্রমণের অন্যতম পছন্দের ডেস্টিনেশন হচ্ছে ব্যাঙ্কক। এবার শুধু উড়ান বা ক্রুজে নয়, সড়কপথেও যাওয়া যাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম বিখ্যাত টুরিস্ট স্পটে। গল্প নয়, বাস্তবেই হতে চলেছে এই প্রজেক্ট। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে কাজ।

কলকাতার সঙ্গেই উড়ানপথ ছাড়াও সড়কপথে এবার জুড়তে চলেছে থাইল্যান্ডের রাজধানী। কলকাতা থেকেই এবার সরাসরি গাড়ি করেও যাওয়া যাবে ব্যাঙ্কক। থাইল্যান্ডের সঙ্গে বাংলাকে সড়কপথে জুড়তে তৈরি হচ্ছে ২৮০০ কিলোমিটার দীর্ঘ হাইওয়ে। ‘বে অফ বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন’-র আওতাভুক্ত এই হাইওয়ে নির্মাণের পরিকল্পনা।

Tripura News: উইকএন্ডে ঘুরে দেখুন রাজবাড়ির অন্দরমহল, পর্যটকদের নয়া ডেস্টিনেশন উজ্জয়ন্ত প্যালেস

জানা গিয়েছে, শুধু কলকাতা নয়, এই দীর্ঘ লম্বা সড়কপথ ছুঁয়ে যাবে শিলিগুড়িকেও। ভারত ছাড়াও মায়ানমার হয়ে এই দীর্ঘ সড়কপথ গিয়ে শেষ হবে থাইল্যান্ডের ব্যাঙ্ককে। আগামী ২০২৯ সালের মধ্যে এই রাস্তা তৈরির কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে বলে মনে করছে এই রাস্তা নির্মাণের পুরোভাগে থাকা নির্মাণকারী সংস্থা।

Amarnath Yatra 2023: রাতেও মিলবে বিমান, সঙ্গে ৫ লাখি বিমা, অমরনাথ যাত্রায় কী কী সুবিধা পাচ্ছেন তীর্থযাত্রীরা?

প্রসঙ্গত, এই রাস্তার সিংহভাগই থাকবে ভারতের অভ্যন্তরে। থাইল্যান্ডের ব্যাঙ্কক থেকে রাস্তা তৈরির কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। সূত্রের দাবি, থাইল্যান্ডে এই রাস্তার সিংহভাগ কাজই শেষ। এরপরের অংশ তৈরি হবে মায়ানমারে। থাইল্যান্ড থেকে এসে মায়ানমার পৌঁছে দেশের পুরো মাঝ বরাবর তৈরি হয়ে প্রবেশ করবে ভারতে। উত্তরপূর্ব ভারতের নাগাল্যান্ডের কোহিমা, মণিপুর, অসমের গুয়াহাটি হয়ে রাস্তাটি ঢুকবে পশ্চিমবঙ্গে। শিলিগুড়ি মোড় ছুঁয়ে উত্তর থেকে নেমে আসবে দক্ষিণে। শেষ হবে কলকাতায়।

Mukesh Ambani: ভারতেই ইউরোপের ধাঁচে আস্ত শহর বানাচ্ছেন আম্বানি! সুবিধা জানলে চমকে উঠবেন

মনে করা হচ্ছে, আগামী তিন থেকে চার বছরের মধ্যেই বাস্তব হবে সড়কপথে কলকাতা অথবা শিলিগুড়ি থেকে ব্যাঙ্কক যাওয়া। ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক এবং ইন্ডিয়ান চেম্বার অফ কমার্সের একটি অনুষ্ঠানে জানানো হয় এই রাস্তাটি সম্পর্কে। থাইল্যান্ডে রাস্তার কাজ মোটামুটি এগিয়েছে। এবার ভারত ও মায়ানমারে রাস্তার কাজ শুরু হবে। এই অংশে রাস্তার কাজ যত দ্রুত শেষ হবে তত তাড়াতাড়ি শুরু হবে কলকাতা টু ব্যাঙ্ক সড়কপথে যাতায়াত।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version