এই সময়: ঘুমপাড়ানি গুলির মাত্রা নির্ধারণের গোলমালেই প্রাণ গিয়েছিল ঝাড়খণ্ড থেকে ঝাড়গ্রামে ঢুকে পড়া খুনে হাতিটির। বন দপ্তরের প্রাথমিক রিপোর্টে হাতিটির মৃত্যুর জন্য ঘুমপাড়ানি ডার্ট ব্যবহারের ‘গোলমাল’-এর কথা বলা হয়েছে। তবে হাতির মৃত্যুর পরে যে বিষয়টি নিয়ে হইচই শুরু হয়েছিল, সেই অভিযোগকে কার্যত নাকচ করা হয়েছে রিপোর্টে। অভিযোগ উঠেছিল খুনে দাঁতাল মারতে গিয়ে গর্ভবতী মাদি হাতিকে গুলি করে মারা হয়েছে। কিন্তু রিপোর্টে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত হাতিকেই মারা হয়েছে।

Elephant Attack : ভরসা হাতিদের কন্ট্রাসেপ্টিভ!
হাইকোর্টেও বিষয়টি নিয়ে জনস্বার্থ মামলা হয়েছে। হাতিটির মৃত্যুর পরে ‘স্টেট জু অথরিটি’র সদস্য-সচিব সৌরভ চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। প্রজেক্ট এলিফ্যান্ট-এর বিশেষজ্ঞেরাও হাতিটির মৃত্যুর কারণ খুঁজতে পৃথক তদন্ত করেন। সেই তদন্তের রিপোর্ট এখনও জানা যায়নি। বন দপ্তরে যে রিপোর্ট জমা পড়েছে, তাতে ভুল অর্থাৎ নির্দোষ হাতিকে মেরে ফেলার অভিযোগ নস্যাৎ করা হয়েছে।

Calcutta High Court:CPIM-র মনোনয়ন বিকৃতি মামলা: SDO-BDO সঙ্গে নিচুতলার অফিসারকেও সাসপেন্ডের সুপারিশ
বন দপ্তরের প্রধান মুখ্য বনপাল (বনরক্ষী বাহিনীর প্রধান) সৌমিত্র দাশগুপ্ত বলেন, ‘হাতি চিহ্নিতকরণে কোনও ভুল হয়নি। যেটির মৃত্যু হয়েছিল সেটিই খুনে হাতি।’ কারণ ব্যখ্যা করে সৌমিত্র জানান, গ্রামবাসীরা জানিয়েছিলেন, হাতিটির দাঁত আছে। যদিও আকারে ছোট, কিন্তু মাদি হাতিরও দাঁত থাকে। সেই জন্যই সকলে ভেবেছিলেন যে, হাতিটি আসলে দাঁতাল পুরুষ হাতি। এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি নিঃসংশয় হয়েই রিপোর্ট দিয়েছে। আর মৃত্যুর কারণ? সৌমিত্র জানান, তদন্ত রিপোর্টে বলা হয়েছে, ঘুমপাড়ানি ডার্ট ব্যবহারে গোলমাল হয়েছিল।

Elephant Attack : মশাল না জ্বালালেও হাতিদের গতিবিধি সোশ্যাল মিডিয়ায়
বন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, সেদিন হাতটিকে ট্র্যাঙ্কুলাইজ় করার জন্য দু’বার ডার্ট ছোড়া হয়েছিল। ডোজ় নির্ধারণ ঠিক না হওয়ার জন্যই হাতিটি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়। আর তাতেই মৃত্যু। বিশেষজ্ঞেরা মনে করছেন, নিতান্ত আনাড়িদের দিয়েই ডার্ট ছুড়ে কাবু করার দামই দিতে হয়েছে হাতিটিকে। সৌমিত্র জানান, এক্ষেত্রে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Elephant Attack : হাতির আক্রমণ বাড়ছে ত্রিপুরায়, একাধিক পদক্ষেপ মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার
গত ২ জুলাই ঝাড়গ্রামের বিড়িহান্ডি বিটের কাজলার জঙ্গলে বুনো হাতিটিকে ঘুমপাড়ানি গুলিতে কাবু করা হয়। তার পরে বুকে-পেটে ফিতে বেঁধে ঝুলিয়ে ঝাড়গ্রামে আনার পথে তার মৃত্যু হয়।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version