হাইকোর্টেও বিষয়টি নিয়ে জনস্বার্থ মামলা হয়েছে। হাতিটির মৃত্যুর পরে ‘স্টেট জু অথরিটি’র সদস্য-সচিব সৌরভ চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। প্রজেক্ট এলিফ্যান্ট-এর বিশেষজ্ঞেরাও হাতিটির মৃত্যুর কারণ খুঁজতে পৃথক তদন্ত করেন। সেই তদন্তের রিপোর্ট এখনও জানা যায়নি। বন দপ্তরে যে রিপোর্ট জমা পড়েছে, তাতে ভুল অর্থাৎ নির্দোষ হাতিকে মেরে ফেলার অভিযোগ নস্যাৎ করা হয়েছে।
বন দপ্তরের প্রধান মুখ্য বনপাল (বনরক্ষী বাহিনীর প্রধান) সৌমিত্র দাশগুপ্ত বলেন, ‘হাতি চিহ্নিতকরণে কোনও ভুল হয়নি। যেটির মৃত্যু হয়েছিল সেটিই খুনে হাতি।’ কারণ ব্যখ্যা করে সৌমিত্র জানান, গ্রামবাসীরা জানিয়েছিলেন, হাতিটির দাঁত আছে। যদিও আকারে ছোট, কিন্তু মাদি হাতিরও দাঁত থাকে। সেই জন্যই সকলে ভেবেছিলেন যে, হাতিটি আসলে দাঁতাল পুরুষ হাতি। এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি নিঃসংশয় হয়েই রিপোর্ট দিয়েছে। আর মৃত্যুর কারণ? সৌমিত্র জানান, তদন্ত রিপোর্টে বলা হয়েছে, ঘুমপাড়ানি ডার্ট ব্যবহারে গোলমাল হয়েছিল।
বন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, সেদিন হাতটিকে ট্র্যাঙ্কুলাইজ় করার জন্য দু’বার ডার্ট ছোড়া হয়েছিল। ডোজ় নির্ধারণ ঠিক না হওয়ার জন্যই হাতিটি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়। আর তাতেই মৃত্যু। বিশেষজ্ঞেরা মনে করছেন, নিতান্ত আনাড়িদের দিয়েই ডার্ট ছুড়ে কাবু করার দামই দিতে হয়েছে হাতিটিকে। সৌমিত্র জানান, এক্ষেত্রে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত ২ জুলাই ঝাড়গ্রামের বিড়িহান্ডি বিটের কাজলার জঙ্গলে বুনো হাতিটিকে ঘুমপাড়ানি গুলিতে কাবু করা হয়। তার পরে বুকে-পেটে ফিতে বেঁধে ঝুলিয়ে ঝাড়গ্রামে আনার পথে তার মৃত্যু হয়।