হাত পা ছড়িয়ে মাছ বিক্রি করছেন! সোশ্যাল মিডিয়ার দাবি ছিল এই ব্যক্তিই আদতে অনুব্রত মণ্ডল ওরফে বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা কেষ্ট। কিন্তু, ‘অতি উৎসাহে’ শেওড়াফুলি বাজারের মাছ বিক্রেতা সুকুমার হালদারের সঙ্গে কেষ্টকে গুলিয়েছিলেন নেটপাড়ার বাসিন্দারা। অনটনের সংসার মাছ বিক্রি করে চালান সুকুমার। স্বাভাবিকভাবেই এই উটকো ঝামেলাতে বিব্রত হয়েছিলেন তিনি।

আপাতত গোরু পাচার মামলায় তিহাড়ে বন্দি রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর জামিনের আবেদন একাধিকবার খারিজ হয়েছে। আইনি লড়াই লড়ে যাচ্ছেন তিনি। অন্যদিকে, অনুব্রত ভেবে যাঁর মুখ সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছিল সেই সুকুমার এখন কেমন রয়েছেন? খোঁজ নিল এই সময় ডিজিটাল।

Anubrata Mondal : অন্য বেঞ্চে শুনানি? কেষ্টর আর্জিতে রায়দান ১৭ অগস্ট
শেওড়াফুলি বাজারে একটি গলির মধ্যে মাছ বিক্রি করেন সুকুমার। এই সময় ডিজিটাল তাঁর কাছে পৌঁছনোর সময় মাছ নিয়ে বাজারের মধ্যেই পা ছড়িয়ে বসেছিলেন অনুব্রত মণ্ডলের ‘হামশকল’। এই সময় ডিজিটাল-এর প্রতিনিধিকে উদ্দেশ্য করে কুশলসংবাদ বিনিময় করেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় কেষ্ট সমালোচনায় তাঁর ছবি নিয়ে হয়েছিল বিপুল টানাটানি। সেই ঝড় কি তিনি সামলে উঠতে পেরেছেন?

Anubrata Mondal : গোরু পাচার মামলা কি সরবে দিল্লিতে?
এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে সুকুমার বলেন, “এখন আর এই নিয়ে কেউ কোনও কথা বলে না। আমার অজান্তেই কেউ এই ছবিটি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিল। যেই একাজ করে থাকুক সে ঠিক করেনি। আমি ওসব কথা ভুলে গিয়েছি। এখন আর ওই দিনগুলো মনে করতে চাই না। আপাতত সংসার চালাতে ব্যবসা করি। দুর্ঘটনায় পায়ে আঘাত লেগেছিল। এরপর থেকে আর পা সোজা করতে পারি না। পা মেলেই সারাদিন বসে থাকি।”

উল্লেখ্য, অতীতে মাছ বিক্রি করতেন অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর গ্রেফতারির পর সেই অতীত টেনে অনেকেই সুকুমারের ছবির সঙ্গে কেষ্ট মণ্ডলের ছবি কোলাজ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতে শুরু করেছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই বেজায় বিপত্তিতে পড়ে এই পরিবার।
Birbhum TMC : ‘যদি নিজেকে অনুব্রত মণ্ডল ভাবেন…’, পদ ছাড়ার পরই বিধায়ককে কটাক্ষ প্রাক্তন পুর চেয়ারম্যানের
সংবাদ মাধ্যমে কার্যত ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন হুগলির এই মাছ বিক্রেতা। তাঁর স্ত্রী জানান, স্বামী কোনওকালেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। একটি দুর্ঘটনায় তাঁর পা ভেঙে গিয়েছিল। একটি ভাড়া বাড়িতে থাকেন তাঁরা।

ছবিটি ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই রীতিমতো তাঁকে দেখতে ভিড় জমাতেন কৌতুহলী অনেকেই। উষ্মা প্রকাশ করে সুকুমার দাবি করেছিলেন, তাঁর চেহারার সঙ্গে আদৌ কোনও মিল নেই অনুব্রত মণ্ডলের। অতীতের সেই কাঁটা এড়িয়ে আপাতত স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন সুকুমার।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version