BJP সূত্রে খবর, সিআরপিএফে কর্মরত জগন্নাথ রায় জঙ্গি হামলায় শ্রীনগরে (পারিম্পরে) বীরগাঁথা প্রাপ্তি করেন। স্বাধীনতা দিবসে দেশমাতৃকার জন্য নিজের প্রাণ বলিদান দেওয়া জওয়ানের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য। তাঁর সহধর্মিণীকে বিজেপির জেতা আসনটিতে লড়াইয়ের জন্য সুযোগ করে দিল BJP।
প্রাক্তন BJP বিধায়ক বিষ্ণুপদ রায়ের মৃত্যুর পর এই কেন্দ্রে উপনির্বাচন দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়। তৃণমূল কংগ্রেস এবং সিপিএম ও কংগ্রেস জোট আগেই প্রার্থী ঘোষণা করেছিল। শেষে প্রার্থী ঘোষণায় চমক BJP-র। গত ২৫ মার্চ শ্রীনগরের লাওয়াপোড়ায় শ্রীনগর-বারামুল্লা জাতীয় সড়কে উপস্থিত ছিলেন BJP প্রার্থী তাপসী রায়ের স্বামী জগন্নাথ রায়। সিআরপিএফের ৭৩ নম্বর ব্যাটেলিয়নের হয়ে তিনি টহল দিচ্ছিলেন। সেই সময় আচমকা জঙ্গিরা গুলিবর্ষণ করে। আহত হন জওয়ান জগন্নাথ রায়। কয়েকদিন পর তাঁর মৃত্যু হয়।
জঙ্গি হামলায় নিহত সেই শহিদ জওয়ানের স্ত্রীকে এবার ধূপগুড়ি কেন্দ্রটি ধরে রাখার লড়াইয়ে নামাল গেরুয়া শিবির। BJP তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার পর তাপসী রায় জানিয়েছেন, আগামী দিনে জেলার মানুষের হয়ে কাজ করার লক্ষ্যে তিনি ভোটের ময়দানে নামছেন। জিতে আসতে পারলে এলাকার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, নারীদের সুরক্ষা প্রদানে একাধিক কাজ করার ইচ্ছে রয়েছে তাঁর।
উল্লেখ্য, এই কেন্দ্রে জোর লড়াই দিতে গতবারের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মিতালি রায়কে টিকিট দেয়নি দল। মিতালি রায়কে সরিয়ে ধূপগুড়ি কেন্দ্রে নতুন প্রার্থী করা হয় নির্মল চন্দ্র রায়কে। পেশায় তিনি অধ্যাপক। রাজবংশী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি নির্মল চন্দ্র রায়কে এবারের লড়াইয়ে বেছে নিয়েছেন শাসক দল। অন্যদিকে, সাগরদিঘি মডেল অনুসরণ করে এবারের কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এই কেন্দ্রে প্রার্থী দিয়েছে সিপিএম। CPIM এর প্রার্থী করা হয়েছে ঈশ্বরচন্দ্র রায়কে।
২০১১ থেকে এই কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস কর্তৃত্ব ফলালেও ২০২১ সালে কেন্দ্রটি হাতছাড়া হয় তাঁদের। প্রায় ৪৫ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে এই কেন্দ্র থেকে জিতে আসেন বিজেপির প্রাক্তন বিধায়ক বিষ্ণুপদ রায়। গত মাসের শেষ দিকে তাঁর প্রয়াণের পরেই এই কেন্দ্রে উপনির্বাচন অবশ্যম্ভাবী হয়। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর এই কেন্দ্রে উপনির্বাচন সংগঠিত হতে চলেছে।