এই সময়: চার গেটে ৩০ কাউন্টার, কম্পিউটারাইজ়ড সিস্টেম এবং সর্বোপরি অনলাইনে অ্যাডভান্স টিকিটের ব্যবস্থা করে ডিসেম্বর-জানুয়ারির ভিড় সামলানোর পরিকল্পনা নিল আলিপুর চিড়িয়াখানা। শহরে শীতের নামগন্ধ নেই। কিন্তু ঠান্ডা না থাকলে কী হবে, ডিসেম্বর তো পড়ে গিয়েছে! আর ডিসেম্বর পড়ে গেলে মনটা একবারও চিড়িয়াখানা যাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করে ওঠে না, এমন বেরসিক কে আছে? অতএব, উষ্ণতা উপেক্ষা করেই ডিসেম্বরের প্রথম রবিবার আলিপুর চিড়িয়াখানার দর্শকসংখ্যা ২০ হাজারের ঘর ছাড়িয়ে গেল। মাসের শুরুতেই যদি এমন হয়, তাহলে মাঝামাঝি থেকে অর্থাৎ মরশুম শুরু হওয়ার পরে উৎসাহীদের ভিড় কোন জায়গায় গিয়ে পৌঁছবে সেটা বেশ অনুমান করতে পারছেন চিড়িয়াখানার কর্তারা। তাই সিজ়ন পড়ার আগেই ঢালাও প্রস্তুতি নিয়েছেন তাঁরা।

গত কয়েক বছর ধরেই আলিপুর চিড়িয়াখানায় টিকেটিং সিস্টেমকে এমন ভাবে সাজানোর চেষ্টা চলছে যাতে দর্শকরা সুবিধা পান। আগে চিড়িয়াখানায় ঢুকতে গেলে কাউন্টারে হাতে কেটে দেওয়া টিকিটই ছিল একমাত্র উপায়। পরে সেখানে স্মার্ট গেট বসে। কয়েক বছর হলো অনলাইনে টিকিট কাটার ব্যবস্থাও চালু হয়েছে। কিন্তু এবার দর্শকরা অনলাইনে আগাম টিকিট কেটে রাখার সুযোগ পাচ্ছেন।

এই প্রসঙ্গে আলিপুর চিড়িয়াখানার অধিকর্তা শুভঙ্কর সেনগুপ্ত বলছেন, ‘বড়দিন ও ইংরেজি নববর্ষের মধ্যের সময়টা চিড়িয়াখানায় দিনে গড়ে ৮০-৯০ হাজার দর্শক আসেন। কাউন্টারে লম্বা লাইন পড়ে যায়। এবার অ্যাডভান্সড টিকিটের দৌলতে দর্শকদের সুবিধা হবে।’

শুধু টিকিট কাটার ব্যবস্থাতেই পরিবর্তন আনা হচ্ছে এমন নয়। চিড়িয়াখানার অধিকর্তা জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই তাঁরা কলকাতা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। সিজ়ন টাইমে অর্থাৎ ১৫ ডিসেম্বর থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ে চিড়িয়াখানার বিভিন্ন জায়গায় পাঁচটি পুলিশ কিয়স্ক বসবে। চিড়িয়াখানার দর্শকদের সুবিধার জন্য সাংসদ মালা রায় তাঁর সাংসদ তহবিল থেকে আলিপুর চিড়িয়াখানায় ১০টি গল্ফ কার্ট এবং দু’টি অ্যাম্বুল্যান্স দিয়েছেন। খুব তাড়াতাড়িই আনুষ্ঠানিক ভাবে ওই গাড়িগুলো চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হবে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version