ধারাবাহিক তদন্তে ইডি জানতে পেরেছে, বিভিন্ন পুরসভায় কাদের নিয়োগ করতে হবে, তার তালিকা একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট পুরসভার শীর্ষ আধিকারিকরা শেয়ার করতেন অয়নের সঙ্গে। এরমধ্যে উত্তর শহরতলির কয়েকটি উল্লেখযোগ্য পুরসভার নামও উঠে এসেছে। যেমন তদন্তকারীদের বক্তব্য, উত্তর শহরতলির এক পুরসভার তৎকালীন চেয়ারম্যান এই গ্রুপের সদস্য ছিলেন।
এবং তিনি কোন কোন প্রার্থীকে নিয়োগ করতে হবে, তা গ্রুপের মাধ্যমেই শেয়ার করেছেন অয়ন শীলের সঙ্গে। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ওই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের সদস্য ছিলেন বেশ কয়েকটি পুরসভার চেয়ারম্যান এবং ভাইস চেয়ারম্যানেরাও। কেন ওই গ্রুপ খোলা হয়েছিল, বিভিন্ন পুরসভার তরফ থেকে কেন ওই গ্রুপের মাধ্যমে নামের তালিকা শেয়ার করা হতো, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
খুব শিগগিরই এর ভিত্তিতে আরও কয়েকটি পুরসভার কর্তাকে তলব করতে পারে ইডি। ইডি সূত্রে খবর, অভিযুক্তদের থেকে বাজেয়াপ্ত হওয়া মোবাইল খতিয়ে দেখে ওই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের বিষয়ে জানতে পারেন তদন্তকারী অফিসারেরা। প্রাথমিক তদন্তে ইডির অনুমান, প্রায় ২০০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে পুরসভায় বেআইনি নিয়োগের মাধ্যমে।
তাতে বিভিন্ন পুরসভায় চেয়ারম্যান এবং ভাইস চেয়ারম্যানেরা জড়িত থাকতে পারেন বলেও মনে করছেন তদন্তকারী অফিসারেরা। অয়ন-সহ বিভিন্নজনকে জেরা করে জানা গিয়েছে, পুরসভার লেবার, ড্রাইভার, সাফাই কর্মী পদে চাকরির জন্য রেট ধার্য হয়েছিল ৪ লাখ, গ্রুপ সি-র পদের জন্য ৭ লাখ, এমনকী টাইপিস্টের জন্য ৭ লক্ষ টাকাও নিত ওই অসাধু চক্রটি।