আর কয়েকদিন পরেই উদ্বোধন হবে রাম মন্দিরের। বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি ওই দিন উপস্থিত থাকবেন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। তবে আমন্ত্রিতরা ছাড়াও বহু মানুষেরই সেইদিন ওই জায়গায় উপস্থিত থাকার ইচ্ছা রয়েছে। তবে সেই সুযোগ সকলের হবে না। আর মানুষের সেই মনোবাসনে হাতিয়ার করেই জাতিয়াতির ছক কষতে শুরু করেছে একদল প্রতারক।

অভিযোগ, হোয়াটসঅ্যাপ ও বিভিন্ন সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে কারও কারও কাছে সম্প্রতি এক ধরণের মেসেজ আসছে। তাতে লেখা থাকছে, অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভিভিআইপি আসনে বসতে চান? বা গেট খোলার পর আপনি প্রথম ঢুকে রামকে স্পর্শ করতে আগ্রহী? আর কেউ সেই মেসেজ দেখে ফাঁদে পা দিলেই সাইবার জালিয়াতদের জালে আটকে পড়ছেন। এক বেসরকারি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী এবার তাই প্রতারণার নতুন ছক নিয়ে রাজ্যের কাছে বার্তা এসেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে। তারপরেই বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করেছে রাজ্য পুলিশ। এক্ষেত্রে সচেতনতা এবং প্রচারের উপরই জোর দেওয়া হচ্ছে পুলিশের তরফে।

কী ভাবে হচ্ছে জালিয়াতি?
জানা গিয়েছে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামের মতো বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় ফেক অ্যাকাউন্ট খুলেছে প্রতারকরা। অধিকাংশ প্রোফাইলেই রয়েছে রাম মন্দিরের ছবি। সঙ্গে কোনও এক ধর্মীয় ট্রাস্টের নাম। অ্যাকাউন্ট থেকে প্রচার করা হচ্ছে, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে রাম মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভিভিআইপিদের পাশে বসার সুযোগ পাওয়া যাবে। আবার অনেক সময় হোয়াটঅ্যাপে অচেনা নম্বর থেকে এই ধরণের মেসেজও আসছে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে নম্বরগুলি শুরু হচ্ছে বিদেশের আইএসডি কোড দিয়ে।

প্রতারকদের পাঁদে পা দিয়ে কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের একটি অ্যাপ ডাউনলোড করতে বলা হচ্ছে। আর সেই অ্যাপ ডাউন লোড করলেই কার্যত ফোনের দখল নিচ্ছে সাইবার প্রতারকরা। গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, এই অ্যাপ ডাউনলোড করলেই তার মাধ্যমে ফোনে ঢুকে পড়বে ‘ম্যালওয়্যার’। অ্যাপ ইনস্টল হওয়ার পর মন্দিরের এন্ট্রি পাস পাওয়ার জন্য কোন কোন বাটনে ক্লিক করতে হবে, তাও বলে দেওয়া হচ্ছে। সেগুলি করার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ফোনের সমস্ত তথ্য চলে যাচ্ছে প্রতারকদের হাতে। তারপর থেকেই খালি হতে শুরু করছে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। তাই কোনও মানুষের কাছে এই ধরণের মেসেজ এলে যেন তা অবিলম্বে ডিলিট করে দেওয়া হয়, হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ যেন নম্বরটিকে ব্লক করা হয়, সেই পরামর্শই এখন দেওয়া হচ্ছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version