এই সময়, বর্ধমান ও আসানসোল: রাত পোহালেই শুরু মাধ্যমিক। কিন্তু এবছর পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অনেকেই রয়েছেন উদ্বেগে। বেশ কয়েকজন ছাত্রছাত্রীর সঙ্গে কথা বলে বোঝা গিয়েছে, তাঁদের দুশ্চিন্তা সময়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছনো নিয়ে। কারণ, পরীক্ষার সময় এগিয়ে এনে ৯:৪৫ করা হয়েছে এবার। আর পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে হবে সকাল ৯টার মধ্যে।

দেখা যাচ্ছে, পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে অনেকেরই বাড়ি ৬-৭ কিলোমিটার দূরে। যাতায়াতে কারও কারও ভরসা সাইকেল। সেক্ষেত্রে বাড়ি থেকে বেরোতে হবে সকাল ৮টার মধ্যে। রাস্তায় যানজটে পড়লে কী হবে? সময়ে পৌঁছতে পারবো তো? সিলেবাস রিভাইস দেওয়ার মাঝে এই ভাবনাই উঁকি দিচ্ছে পরীক্ষার্থীদের মনে। তার উপর মাঘের শীতে খামখেয়ালি আবহাওয়ায় বেশি দুশ্চিন্তায় গ্রামীণ এলাকার পরীক্ষার্থীরা। কারণ, বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।

গত বছর থেকে এবছর পূর্ব ও পশ্চিম দুই বর্ধমানেই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। এবং দু’জেলাতেই ছাত্রর তুলনায় ছাত্রীর সংখ্যা বেশি। পূর্ব বর্ধমান থেকে এবার মাধ্যমিক দিচ্ছে ৪১ হাজার ৬০৬ জন। গত বছর যা ছিল ২৫ হাজার ৭৬২। প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা। এ জেলায় এবার ছাত্রর সংখ্যা ১৭ হাজার ৯৭০ জন। ছাত্রী ২২ হাজার ৮১২ জন। অন্য দিকে, পশ্চিম বর্ধমান থেকে পরীক্ষা দিচ্ছে ২৮ হাজার ১৬৩ জন।

এই জেলায় ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীর সংখ্যা ৩ হাজারের মতো বেড়েছে। ছাত্র ১২ হাজার ৬০২ জন এবং ছাত্রীর সংখ্যা ১৫ হাজার ৫৬১ জন। ছাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল গার্লস হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা শ্রাবণী মল্লিকের বক্তব্য, ‘এটা সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র কন্যাশ্রীর জন্য। এখন মেয়েদের মধ্যে পড়াশোনা করার একটা বাড়তি আগ্রহ তৈরি হয়েছে।’

Madhyamik Exam 2024 : মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের মনোবল বাড়াতে উপহার, নয়া উদ্যোগ পঞ্চায়েতের প্রধানের
পরীক্ষার্থীদের সময়ের মধ্যে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছনো নিয়ে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পূর্ব বর্ধমান জেলা কনভেনার অমিতকুমার ঘোষ বলেন, ‘ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষাকেন্দ্রে সময়ে নিয়ে আসার বিষয়ে আমরা বাড়তি জোর দিয়েছি। এছাড়া বিভিন্ন রিকশা, টোটো ইউনিয়নের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। প্রতিটি ব্লকে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের সাহায্য করার জন্য বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কাছেও আবেদন জানানো হয়েছে।

আউশগ্রাম, গলসি এলাকায় গত বছর পরীক্ষার সময়ে হাতি বেরিয়েছিল। এই সমস্ত জায়গার পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষাকেন্দ্রে আনার দায়িত্ব ব্লক প্রশাসনের। সম্পূর্ণ পুলিশি সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন জেলার পুলিশ সুপার আমনদীপ সিং। জেলাশাসক পূর্ণেন্দুকুমার মাজির বক্তব্য, ‘চিন্তার কোনও কারণ নেই। প্রশাসন সকল পরীক্ষার্থীর পাশে রয়েছে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version