হুগলির পোলবায় প্রৌঢ়ায় খুনের ঘটনার তদন্তে এল পুলিশের বিশেষ স্নিফার ডগ ‘গ্লোরি’। মঙ্গলবার গ্লোরিকে নিয়ে প্রৌঢ়া খুনের ঘটনাস্থলে তদন্ত চালান পুলিশ আধিকারিকরা। সেখান গ্লোরি সোজা একটি কোয়ার্টারের ভিতরে ঢুকে যায়। সেখানে বেশ কিছু সন্দেহজনক বস্তু সারমেয়টি চিহ্নিত করে এবং রক্তের দাগ খুঁজে পায়। সেই সূত্র ধরেই পুলিশ ওই কোয়ার্টারে থাকা তিন শ্রমিককে আটক করেছে। পরিত্যক্ত কারখানার পাশেই রয়েছে একটি সার কারখানা। জানা গিয়েছে, ওই ৩ জন সেই কারখানারই শ্রমিক।

জানা গিয়েছে, পোলবার জগন্নাথবাটির এক মহিলা ছাগল চড়াতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান। এরপর সন্ধ্যায় তাঁর গলাকাটা মৃতদেহ উদ্ধার হয়। কে বা কারা কী কারণে তাঁকে খুন করেছে তা নিয়ে ধন্ধে পড়ে যায় পুলিশ। সূত্রের খবর, ঘটনায় চুলচেরা বিশ্লেষণ করেও কোনও কিনারা করে উঠতে পারেননি ওসি, ডিএসপি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার অফিসাররা। এরপরেই সাহায্য নিতে হয় পূর্ব বর্ধমানের জেলা পুলিশের স্নিফার ডগ গ্লোরির। জানা গিয়েছে, গ্লোরির প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছিল ৬ মাস বয়সে। ২ বছর বয়স থেকেই সে কাজ শুরু করে। এখন তার বয়স ৯ বছর। তার খাদ্য তালিকায় রয়েছে ভাত, মাংস ,মাছ ও দই। গ্লোরির ট্রেনার হলেন মানিক ঘোষ। সেই মানিকই এখন তাকে দেখাশোনা করে। জানা গিয়েছে, অতীতে অনেক অপরাধমূলক ঘটাতেই সাফল্যের সঙ্গে কাজ করেছে গ্লোরি।

ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সরকার বলেন, ‘খুনের তদন্তে স্নিফার ডগের সাহায্য নেওয়া হয়েছে। গ্লোরি একটি বিশেষজ্ঞ কুকুর। তাই তার সাহায্যে আমরা এই অপরাধের কিনারা করতে চাইছি। ইতিমধ্যেই সন্দেহজনক তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং বেশ কিছু নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। কী কারণে খুন বা খুনের মোটিভ কী, সেটা জানতে আরও কিছুটা সময় লাগবে।’

এদিকে প্রৌঢ়া খুনের ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবিতে পোলবা থানায় বিক্ষোভ দেখাল বিজেপি। এলাকার সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিজেপি কর্মীরা থানার সামনে জমায়েত করেন। রাজহাট-মহানাদ রোড অবরোধ করেন বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা। থানার সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। নারী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে চলতে থাকে বিক্ষোভ। পরিস্থিতি সামাল দিতে মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। প্রায় দেড় ঘন্টা পর পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেয় গেরুয়া শিবির।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version