কুণাল ঘোষ বঙ্গ রাজনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তিনি শুক্রবার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট শেয়ার করেছেন। তিনি লেখেন, ‘আমি তৃণমূল-এর রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র পদে থাকতে চাইছি না। সিস্টেমে আমি মিসফিট। আমার পক্ষে কাজ চালানো সম্ভব হচ্ছে না। আমি দলের সৈনিক হিসেবেই থাকব। দয়া করে দলবদলের রটনা বরদাস্ত করবেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার নেত্রী, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমার সেনাপতি, তৃণমূল আমার দল।’পাশাপাশি এদিন নরেন্দ্র মোদীর আক্রমণের পালটা একটি টুইট করেন কুণাল। তিনি লেখেন, ‘নরেন্দ্র মোদী বাংলার মাটিতে একরাশ কুৎসা করে গেলেন। যুক্তিতে তাঁকে ধুয়ে দেওয়া যায়। কিন্তু, ঘটনা হল তাঁর কড়া সমালোচনার মূল দায়িত্ব যাঁদের, দুটি আলাদা বিরোধী দলের লোকসভার দলনেতারা তো প্রধানমন্ত্রীরই লোক। এঁদের সঙ্গে বিজেপির যোগাযোগ। এই দুজনকে দুভাবে ব্যবহার করেন মোদী। একজনকে রোজ ভ্যালি থেকে বাঁচিয়ে গলায় বকলস পরিয়ে রেখেছেন।’

কুণাল ঘোষের সার্বিক বার্তা রাজ্য রাজনীতির ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। তৃণমূলের অন্যতম মুখ হিসেবে গত তিন থেকে চার বছরে উঠে এসেছে কুণাল ঘোষের নাম। তিনি সকালেই তাঁর টুইটার বায়ো বদল করেন। সেখানে তাঁর পরিচয় হিসেবে লেখা হয় ‘সাংবাদিক এবং সমাজকর্মী’।

বৃহস্পতিবার তাঁর একটি টুইটকে কেন্দ্র করে তীব্র আলোড়ন পড়ে যায়। তিনি লেখেন, ‘নেতা অযোগ্য গ্রুপবাজ স্বার্থপর। সারাবছর ছ্যাঁচড়ামি করবে আর ভোটের মুখে দিদি, অভিষেক, তৃণমূল দলের প্রতি কর্মীদের আবেগের উপর ভর করে জিতে যাবে, ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধি করবে, সেটা বারবার হতে পারে না।’

তবে কোন নেতাকে উদ্দেশ্য করে তাঁর এই পোস্ট, সেই বিষয়ে কোনও খোলসা করেননি কুণাল ঘোষ। উল্লেখ্য, গত কয়েক বছরে তৃণমূলের অন্যতম নেতা হিসেবে উঠে এসেছেন কুণাল ঘোষ। দলের অন্যতম মুখপাত্র তিনি। তাঁর এই পোস্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

Trinamool Congress : ব্রিগেডে এবার তৃণমূলের ‘জনগর্জন সভা’, লোকসভার আগে মমতা-অভিষেকের মেগা মিটিং
অন্যদিকে, দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন। আগামী ১০ তারিখ ব্রিগেড থেকে ‘জন গর্জন’ মঞ্চে বিশেষ বার্তা দিতে পারেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভা নির্বাচনের সুর তাঁরা বেঁধে দিতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। এদিনের সভা থেকে লোকসভা নির্বাচনের আগে কী কী বিষয়কে সামনে রেখে ঝাঁপাবে তৃণমূল তাও অনেকটাই স্পষ্ট হতে চলেছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version