২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিদায় নিয়েছে বাম সরকার। কিন্তু, হুগলির সিঙ্গুরের এক সমবায় সমিতিতে শেষ ৩৫ বছর ধরে জিতে এসেছেন বাম প্রতিনিধিরা। রাজ্যে পালাবদলের পরেও সেই সমবায় সমিতির নির্বাচনের চিত্রটা পাল্টানো যায়নি। সেই সমবায় সমিতি এবার দখল নিল তৃণমূল কংগ্রেস। সবুজ আবির উড়ল সমিতি চত্বরে।সিঙ্গুরের গোবিন্দপুর সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি লিমিটেড দখলে গেল তৃণমূলের। রাজ্যের তৃণমূলের জয়ের ধারা অব্যাহত। লোকসভা নির্বাচনে বিপুল আসনে জয়ের পর সমবায় নির্বাচনেও জয়লাভ করল শাসক দল তৃণমূল। লোকসভা নির্বাচনে সিঙ্গুর বিধানসভা থেকে ১৮ হাজারের বেশি ভোটে লিড পায় তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আজ, রবিবার সিঙ্গুর বিধানসভার নসীবপুর অঞ্চলের গোবিন্দপুর সমবায় সমিতির নির্বাচনে তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা ৪৫-০ আসনে জয়ী । এবারে ৪৫ টি আসনের বামফ্রন্ট সমর্থিতদের পাশাপাশি তৃণমূল সমর্থিত প্রতিনিধিরাও নির্বাচনে লড়াই করেছেন। বিজেপি সমর্থিত ১২ জন প্রতিনিধি নির্বাচনে লড়াই করেছেন। গত ৩৫ বৎসর এই সমবায় সিপিএম পরিচালিত বোর্ড ছিল। আজ তাঁদের হাত থেকে সেই বোর্ড ছিনিয়ে নিল রাজ্যের শাসক দল।

সকাল থেকেই ভোট গ্রহণকে কেন্দ্র করে ছিল কড়া পুলিশি ব্যবস্থা। যদিও সিপিএম তৃণমূলের বিরুদ্ধে বুথ জ্যাম করে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ করে। পালটা সিপিএমের সেই অভিযোগ নস্যাৎ করে বহিরাগত লোকজন নিয়ে বুথ জ্যামের অভিযোগ করে তৃণমূল। কিছুটা উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। যদিও পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দেয়। গোবিন্দপুর সমবায়ের তিনটি জায়গায় ভোটগ্রহণের ব্যবস্থা করা হয়।

Rachna Banerjee In Singur:‘সিঙ্গুরের দই বিখ্যাত হয়েছিল, তাই রচনা ব্যানার্জী জয়ী হয়েছেন’মন্তব্য রচনার

মোল্লা সিমলা হাই মাদ্রাসা, গোবিন্দপুর সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি লিমিটেডের দিয়ারা সমবায় শাখায় ও ভান্ডারদহ প্রাথমিক বিদ্যালয় এই তিনটি কেন্দ্রে সকাল থেকে ভোট গ্রহণ হয়। রাতে ফল ঘোষণা হতেই বিপুল জয়ের পরেই আবির খেলায় মেতে ওঠে তৃণমূল কর্মী সমর্থক ও জয়ী প্রার্থীরা। উল্লেখ্য, ১৯৮৯ সাল থেকে ৩৫ বছর সমবায়টি বাম সমর্থিত প্রতিনিধিদের দখলে। কয়েক বছর আগে কিছু সদস্য অনাস্থা আনলেও ভোটাভুটিতে বামফ্রন্ট সমর্থিত প্রার্থীরা জয়ী হয়।

হুগলিতে বিজেপিতে ভাঙন! রচনার হাত ধরে তৃণমূলে যোগদান একাধিক গেরুয়া শিবিরের নেতা-কর্মীর
সিঙ্গুরের বিধায়ক তথা মন্ত্রী বেচারাম মান্না বলেন, সিঙ্গুরের গোবিন্দপুর সমবায় সমিতির আজ নির্বাচনে ৪৫-০ এ আমরা জয়লাভ করেছি। এখানে সিপিএম এবং বিজেপি রামধনু জোট তৈরি করে তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। তাদের দুজনের জোটেও তৃণমূল কংগ্রেসকে হারাতে পারেনি। ৩৫ বছর পর সিপিএম এবং বিজেপির থেকে এই বোর্ড আমরা ছিনিয়ে নিলাম।দীর্ঘদিন ধরে সিপিএম পরিচালিত বোর্ডের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণ ও দুর্নীতির অভিযোগ ছিল, জনগণ সঠিক বিচার করেই আজ তৃণমূলের হাতে এই বোর্ড তুলে দিল।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version