কল্যাণীতে সরকারি হাসপাতালে ‘ভুয়ো চিকিৎসক’-এর হদিশ। বৃহস্পতিবার দুপুর তিনটে নাগাদ কল্যাণী জওহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল হাসপাতালের মধ্যে দুই মহিলাকে ঘোরাঘুরি করতে দেখেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাঁরা চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজ করছিলেন হাসপাতালের মধ্যেই। কিন্তু, তাঁদের দেখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সন্দেহ হয়। তৎক্ষনাৎ তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আর জিজ্ঞাসাবাদে দুই রকম পরিচয় দেন তাঁরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সন্দেহ হওয়ায় পুলিশে খবর দেওয়া হয়। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।ঠিক কী ঘটেছে? জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার হাসপাতালের মধ্যে দুই মহিলা রোগীদের দেখভাল থেকে শুরু করে বিভিন্ন চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজ করছিলেন তাঁরা। কিন্তু, দুই জনেই অন্যান্য হাসপাতাল কর্মীদের কাছে অপরিচিত ছিলেন। কিছুটা কৌতুহল বশতই তাঁরা ওই মহিলাদের পরিচয় জানতে চান। এক মহিলা নিজেকে চিকিৎসক বন্দনা দাস বলে পরিচয় দেন। জয়তী দাস নামক অপরজন হাসপাতালের লোয়ার ডিভিশন ক্লার্ক হিসেবে কর্মরত বলে জানান। কিন্তু, জিজ্ঞাসাবাদের সময় বন্দনা দু’বার দুই রকম রেজিস্ট্রেশন নম্বর জানান। এরপরেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সন্দেহ হয় এবং তাঁদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

কল্যাণী জওহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল হাসপাতালের চিকিৎসক অতনু বিশ্বাস বলেন, ‘ওঁরা এই হাসপাতালের কর্মী নন, তা নিশ্চিত হওয়ার পরেই আমরা পুলিশে খবর দিই। যে মহিলা নিজেকে চিকিৎসক বলে পরিচয় দিয়েছিলেন তিনি দু’বার দুই রকম রেজিস্ট্রেশন নম্বর বলেছিলেন। পাশাপাশি তাঁদের নামও আমরা হাসপাতালের নথিতে দেখি। সেখান থেকেই স্পষ্ট হয় ওই নামের কোনও মহিলা আমাদের হাসপাতালে কাজ করে না।’

হাসপাতাল সূত্রে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। ওই মহিলাদের গ্রেপ্তার করা হয় এবং শুক্রবার তাঁদের আদালতে তোলা হয়েছিল। হাসপাতালের মধ্যে ভুয়ো চিকিৎসক ধরা পড়ায় আতঙ্কে রোগীর পরিজনেরা। হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও আঁটসাঁট করার দাবি করেছেন তাঁরা। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে দাবি করা হয়েছে, এটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। রোগীদের পরিষেবা দেওয়ার দিকে যেমন নজর থাকে তেমনই তাঁদের সুরক্ষাও প্রাথমিকতা পায়।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version