আপাতত রাজ্যে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। তবে নিম্নচাপের কারণে উত্তাল হতে পারে বঙ্গোপসাগর। অন্যদিকে, আরব সাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হতে পারে। যদিও তার অভিমুখ ওমান। নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ের সরাসরি কোনও প্রভাব বাংলার উপর পড়বে না, এমনটাই জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে নিম্নচাপ। মধ্য এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে এই নিম্নচাপটি আরও শক্তিশালী হবে। পশ্চিম-মধ্য এবং উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে তা গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। এই নিম্নচাপটি ওডিশা এবং উত্তর অন্ধপ্রদেশ উপকূলের দিকে এগোতে পারে।

কেমন থাকবে কলকাতার আবহাওয়া?

শুক্রবার সকাল থেকেই শহর কলকাতার আকাশ ঝলমলে। চড়া রোদ এবং আপেক্ষিক আর্দ্রতার আধিক্যে অস্বস্তি বাড়বে। এ দিন শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৩ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি এবং শুক্রবার সকালে শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। এ দিন বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ সর্বাধিক ৯২ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৬৩ শতাংশ। শুক্রে শহরে সেভাবে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। বিক্ষিপ্তভাবে হালকা বৃষ্টি হতে পারে।

কেমন থাকবে দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া?

আপাতত দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমবে। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বলেই জানাচ্ছেন আবহবিদরা। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকবে। ফলে অস্বস্তি বাড়বে। সঙ্গে বাড়বে তাপমাত্রাও। শুক্রবার কয়েকটি জেলায় হালকা বৃষ্টিপাত হতে পারে।

কেমন থাকবে উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া?

উত্তরবঙ্গের পার্বত্য এলাকায় হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। শনি এবং রবিবার দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা বেশি। অন্যান্য জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে।

বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপের দরুন শুক্র ও শনিবার পশ্চিমবঙ্গের মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। ওডিশার মৎস্যজীবীদের জন্য সতর্কবার্তা থাকবে রবিবার পর্যন্ত।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version