এই সময়, উলুবেড়িয়া: সকালেই ট্র্যাফিক ডিউটিতে এসেছিলেন হোমগার্ড। সে সময় বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হলো তাঁর। বেসামাল গাড়িটি একজন পথচারীকেও ধাক্কা মারে। তিনিও মারা গিয়েছেন। এই ঘটনার পর চালক গাড়ি নিয়ে এলাকা থেকে দ্রুত পালিয়ে যায়। শুক্রবার সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের কুলগাছিয়া ও শ্রীরামপুরের সংযোগস্থলে।মৃতের নাম সোমনাথ রায় (৪০) ও বিশ্বনাথ জানা (৪৭)। সোমনাথের বাড়ি সাঁকরাইল থানার বাণীপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের রাজগঞ্জ কলোনিতে। তিনি হোমগার্ড ছিলেন। বিশ্বনাথের বাড়ি বাগনানের ওড়ফুলি গ্রাম পঞ্চায়েতের ধোড়ামান্না গ্রামে। তিনি একটি বেসরকারি সংস্থায় রক্ষীর কাজ করতেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কুলগাছিয়া ও শ্রীরামপুরের সংযোগস্থল মোড়ে কোলাঘাটমুখী লেনের দিকে ডিউটির সময় সোমনাথকে গাড়িটি ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়েন তিনি। তার পর কিছুটা এগোতেই গাড়িটি ফের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিশ্বনাথকে ধাক্কা মারে। স্থানীয় বাসিন্দারা দু’জনকে উলুবেড়িয়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক সোমনাথকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বিশ্বনাথকে ভর্তি করা হয়। কিন্তু বিকেলে তিনি মারা যান। এই ঘটনায় পুলিশ মহলে শোকের ছায়া নেমে আসে।

সোমনাথের একটি দশ বছরের মেয়ে আছে। হাওড়া গ্রামীণ জেলার ট্র্যাফিক ও বীরশিবপুরে অবস্থিত উলুবেড়িয়া ট্র্যাফিক পুলিশ অফিসের পক্ষ থেকে সোমনাথের মৃতদেহে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। ওই হোমগার্ডের বাড়ি যান সাঁকরাইলের তৃণমূল বিধায়ক প্রিয়া পাল। প্রিয়া বলেন, ‘সোমনাথ এলাকায় খুব জনপ্রিয় ছিল। পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতেই আমি এখানে এসেছি। পরিবারের পাশে সরকার আছে।’

বিশ্বনাথের ২১ বছরের ছেলে আছে। তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান ওড়ফুলি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান রঘুনাথ জানা। রঘুনাথ বলেন, ‘বাগনানের তৃণমূল বিধায়ক অরুণাভ সেন মৃতের পরিবারের পাশে থাকতে বলেছেন। খুব খারাপ ঘটনা।’ হাওড়া গ্রামীণ জেলার পুলিশ সুপার স্বাতী ভাঙ্গালিয়া বলেন, ‘জাতীয় সড়কের সিসিটিভি ক্যামেরাতে দেখা যাচ্ছে একটি গাড়ি পরপর দু’জনকে ধাক্কা মেরে পালিয়েছে। কয়েক মিনিটের ব্যবধানে দ“জনের প্রাণ শেষ। সেই গাড়ির সন্ধান করা হচ্ছে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version