জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: জুবিন গর্গের মৃত্যুতে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল গায়কের ম্যানেজার সিদ্ধার্থ শর্মা ও সিঙ্গাপুরের ফেস্ট আয়োজক শ্যামকানু মহন্তকে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলেন জুবিনের ব্যান্ড সদস্য শেখর জ্যোতি গোস্বামী ও সহশিল্পী অমৃতপ্রভা মহন্ত। এ নিয়ে মামলায় মোট গ্রেফতার সংখ্যা দাঁড়াল চার।

Add Zee News as a Preferred Source

আরও পড়ুন:Berhampore Horror: ঠাকুর দেখানোর নামে কিশোরীকে ছিঁড়ে খেল ৩ বর্বর! বীভত্‍স বহরমপুর…

১৯ সেপ্টেম্বর নর্থ ইস্ট ইন্ডিয়া ফেস্টিভ্যাল চলাকালীন ইয়ট পার্টিতে জুবিনের সঙ্গে শেখর ও অমৃতপ্রভা দুজনেই উপস্থিত ছিলেন। যেখানে সাঁতার কাটতে গিয়ে জলে ডুবে মৃত্যু হয় জুবিনের। SIT সূত্র জানায়, ভিডিয়ো ফুটেজে দেখা গিয়েছে শেখর গোস্বামী জুবিনের খুব কাছেই সাঁতার কাটছিলেন এবং অমৃতপ্রভা মহন্ত পুরো ঘটনাটি তাঁর মোবাইলে রেকর্ড করছিলেন। গত ছয় দিন ধরে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

জুবিনের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে স্পষ্ট করা আছে যে, সাঁতার কাটতে গিয়ে জলে ডুবেই তাঁর মৃত্যু হয়। কিন্তু সেই কথা মানতে নারাজ জুবিন পত্নী গরিমা। তিনি অভিযোগ তোলেন যে, জুবিনকে জোর করে সাঁতার কাটতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

বিস্ফোরক গরিমা:

সম্প্রতি এক সাক্ষাত্‍কারে গরিমা বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় জুবিনের শেষ মুহূর্তের যে ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। সেখানে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে ওইদিন ও খুবই ক্লান্ত ছিল। সবাই ওঁর শারীরিক অবস্থা, খিঁচুনির(সিজার) কথা জানত। ডাক্তাররা ওঁকে জল এবং আগুনের ধারের কাছে যেতে বারণ ছিল। এমনকি গাড়ি চালাতেও নিষেধ ছিল। তবুও ওঁকে ইয়টে নিয়ে যাওয়া হল, জলে নামানো হল। অথচ লাইফ জ্যাকেটও পরানো হয়নি। কেন এমন হল আমার স্বামীর সঙ্গে?’

তিনি প্রশ্ন তোলেন যে, ‘কেউ কেন ওঁর যত্ন নিল না? ওঁর জন্য কোনও ডাক্তার বা নিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল না কেন? ও শুধু আমার স্বামী নয়, ছিল অসমের হার্টবিট, নর্থ-ইস্ট ভারতের প্রাণ। এই অবহেলা ক্ষমার অযোগ্য।’

আরও পড়ুন:Bengal Weather Update: শক্তি হারাচ্ছে নিম্নচাপ! তার আগে দক্ষিণের একাধিক জেলায় অতি ভারী বৃষ্টির কমলা সতর্কতা…

জুবিনের সঙ্গে গরিমার শেষ কথোপকথন:

শেষবারের কথা মনে করে গরিমা বলেন, ‘ও যদি জানত, তাহলে আমাকে উত্তেজিত হয়ে বলত। আগের রাতেও অনুষ্ঠানে গান গাইছিল। পরদিন সকালেই হঠাৎ করে ওকে জলে নিয়ে যাওয়া হল। পোশাক পর্যন্ত পরিবর্তন করেনি ও। আমার বিশ্বাস, ওকে জোর করে নেওয়া হয়েছিল।’ 

সন্দেহের তীর ম্যানেজারের দিকে:

জুবিনের ম্যানেজার সিদ্ধার্থ শর্মার প্রতি সন্দেহ প্রকাশ করে গরিমা বলেন, ‘সিদ্ধার্থ কাঁদছিল, বলছিল ‘দাদা, দাদা’। আমি ‘CPR’ শব্দটা শুনলাম। আমি চমকে উঠেছিলাম, কারণ ওর কখনো হৃদযন্ত্রের সমস্যা ছিল না। সিজার হলেও, কয়েক মিনিটেই স্বাভাবিক হয়ে যেত। তাহলে CPR কেন দেওয়া হচ্ছিল? হাসপাতালে পৌঁছাতে এক ঘণ্টার বেশি সময় লাগল কেন? ও কি মৃত অবস্থায়ই নিয়ে যাওয়া হয়েছিল? এখনও আমার জানা নেই আসল সত্যটা কী।’

বর্তমানে অসম পুলিস ও CID জুবিনের মৃত্যু রহস্যের তদন্ত করছে। গরিমা বলেন, ‘সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রী এই বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন। আমি দ্রুত তদন্তের আবেদন করেছি। আমার বিশ্বাস, খুব শিগগিরই সত্য সামনে আসবে।’

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version