প্রসেনজিৎ মালাকার: প্রথা মেনে দুর্গাপুজোর (Durga Puja 2025) দশমীর পরের দিন, অর্থাৎ, একাদশীর দিন দুবরাজপুরের শতাব্দীপ্রাচীন শ্মশানকালীর বিসর্জন হল। প্রতি বছর এই শ্মশানকালীর বিসর্জন দেখতে দুবরাজপুর (Dubrajpur) শহর ছাড়াও আশেপাশের গ্ৰাম থেকে হাজার-হাজার মানুষ ভিড় করেন।

Add Zee News as a Preferred Source

আরও পড়ুন: Laxmi Devi Favourite Zodiac Signs: মা লক্ষ্মীর অতি প্রিয় রাশি! ধনদেবীর কৃপায় উপচে পড়বে ভাগ্য, সংসারে বইবে সম্পদের স্রোত, পকেটে রাশি রাশি টাকা…

গালি-ঝাঁটা, শেকল-দড়ি 

কথিত আছে, ১০০ বছর ধরেই দাসপাড়ার মানুষ পুরুষানুক্রমে এই বিসর্জন দেখে আসছেন। নিজেরাও এতে অংশ নিচ্ছেন। একসময় ঝাঁটা দেখিয়ে, গালিগালাজ করে মন্দির থেকে মা কে বের করা হত। কিন্তু বর্তমানে সভ্যসমাজে এই রীতি উঠে গিয়েছে। তবে এখনও শ্মশান মাকে শেকল ও দড়ি দিয়ে বেঁধে বেদি থেকে নামানো হয় এবং বিসর্জন সম্পন্ন হয়। পরম্পরা অনুযায়ী দাসপাড়ার লোকেই এই বিসর্জন-ক্রিয়া করেন। শ্মশানকালী বিসর্জনকে ঘিরে দাস পরিবারের লোকেদের বাড়িতে আত্মীয়-স্বজনও আসেন। আগাগোড়া উৎসবের আবহ। 

বৈষ্ণব ও দাস

মায়ের মূর্তি গড়া থেকে শুরু করে সারাবছর পুজো ও দেখাশোনার দায়িত্ব থাকে বৈষ্ণবদের হাতে। আর বিসর্জনে হয় দাস পরিবারের হাত দিয়ে। এটাই পরম্পরা। এটাই বরাবর চলে আসছে। বিশালাকার শ্মশান কালী মায়ের মূর্তি এখানে। শ্মশানকালী মন্দিরের পিছনে থাকা রুজের পুকুরে বিসর্জন করা হয়।

আরও পড়ুন: Vijaya Dashami Tragedy: উৎসবেই মৃত্যু উৎসবের! ঠাকুরভাসানে এসে চিড়িয়াখানার সামনে লরির মাথা থেকে…মর্মান্তিক…

রীতি-নিয়ম

দাস পরিবারের এক সদস্য গুরুপদ দাস জানান, এক সময় মাকে বেদি থেকে নামাতে গালিগালাজ করা হত এবং তাঁকে ঝাঁটাও দেখানো হত। কিন্তু এখন আর তা হয় না। তবে এখনও মাকে শেকল ও দড়ি বেঁধে বেদি থেকে নামানো হয়। এই বিসর্জনকে কেন্দ্র করে দাসপাড়ার প্রত্যেকের বাড়িতেই আত্মীয়স্বজন আসেন। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রচুর পুলিস মোতায়েন করা হয়।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version