এই সময়: পুজোর আগে শপিং মল থেকে পছন্দের জামা কিনে দেননি বাবা। তাই স্কুল থেকে বেরিয়ে নিজেই নিউ টাউনের শপিং মলে ঢুকে পড়েছিল ক্লাস এইটের কিশোরী। পকেটে টাকা ছিল না। সেজন্য শোরুমে পছন্দের জামাটা দেখেই কোনওরকমে ব্যাগে ভরে ফেলেছিল সে। কিন্তু ব্যাপারটা চোখ এড়ায়নি মলের নিরাপত্তারক্ষীর। দাম না-মিটিয়ে জামা নিয়ে বেরনোর জন্য তিনি ধরে ফেলেন ওই কিশোরীকে। বিষয়টা জানানো হয় নিউ টাউন থানায়।

এদিকে সোমবার স্কুল থেকে বেরিয়ে মেয়ে বাড়ি না-ফেরায় তার চিন্তায় হন্যে বাড়ির লোকজন। গড়িয়াহাট থানায় মিসিং ডায়েরিও করেন তাঁরা। তদন্তে নেমে মঙ্গলবার বিকেলে পুলিশ জানতে পারে, নিউ টাউন থানায় রয়েছে ওই কিশোরী। খবর দেওয়া হয় তার বাড়ির লোকজনকে। কিন্তু পছন্দের জামা কেনার জন্য এক রাতের জন্য হলেও বাড়ি থেকে পালিয়ে ক্লাস এইটের একটি মেয়ে যেভাবে শপিং মলে ঢুকে পড়েছে, তাতে বিস্মিত তদন্তকারীরাও। কলকাতা পুলিশ সূত্রের খবর, দাম না-দিয়ে ওই জামা ব্যাগে ভরে নেওয়ার জন্য কিশোরীর নামে কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি এদিন রাত পর্যন্ত। কিশোরীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলছেন তদন্তকারীরা।

দক্ষিণ কলকাতার একটি নামী স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ওই পড়ুয়া সোমবার স্কুলে গিয়েছিল। তারপর থেকে সে বাড়ি না-ফেরায় পরিবারের সদস্যরা গড়িয়াহাট থানায় মিসিং ডায়েরি করেন। স্কুল এবং আশপাশের এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ জানতে পারে, সোমবার বিকেল ৫.১০ নাগাদ ওই কিশোরী স্কুল থেকে বেরিয়ে গড়িয়াহাট মোড়ের দিকে গিয়েছিল। কিন্তু তারপরে তার ছবি আর কোনও সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েনি। তার বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলেও ওই বছর চোদ্দর ওই কিশোরীর বিষয়ে কোনও তথ্য পুলিশের হাতে আসেনি।

এরইমধ্যে মঙ্গলবার বিকেলে গড়িয়াহাট থানার কাছে খবর আসে, নিউ টাউনের একটি শপিং মলে পোশাক চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়েছে ওই কিশোরী। যদিও তদন্তকারীদের দাবি, বাড়ি থেকে স্কুল ইউনিফর্ম পরে বেরলেও উদ্ধার হওয়ার সময়ে ওই কিশোরীর পরনে অন্য পোশাক ছিল। পুলিশের অনুমান, সোমবার বাড়ি থেকে বেরনোর সময়েই স্কুল ব্যাগে করে সে অন্য জামা নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সোমবার স্কুল থেকে বেরিয়ে সে কোথায় ছিল, এদিন বিকেলে কোথা থেকে সে নিউ টাউনের ওই শপিং মলে যায়, সেটা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা চলছে। ওই কিশোরী একটি গেস্টহাউসে ছিল বলে প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পারলেও তা যাচাই করে দেখা হচ্ছে। শুধুই পছন্দের জামা কেনার জন্য সে বাড়ি থেকে পালিয়েছিল, নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

পরিবারের বক্তব্য, প্রতিদিন স্কুল ছুটির পরে বাড়ির কোনও সদস্য মেয়েকে আনতে যান। কিন্তু সোমবার তার মা পৌঁছনোর আগেই কেন ওই কিশোরীকে বেরিয়ে যেতে দেওয়া হলো, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পরিবারের সদস্যরা। স্কুলের তরফে অবশ্য এনিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।

তিলোত্তমা কলকাতার আরও সমস্ত খবরের জন্য ফলো করুন এই সময় ডিজিটালের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version